×

জাতীয়

‘স্যার’ ডাকা বিতর্ক: সমাধানের উপায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২:০৪ এএম

‘স্যার’ ডাকা বিতর্ক: সমাধানের উপায়

প্রতীকী ছবি

‘স্যার’ ডাকা নিয়ে সম্প্রতি একটি ঘটনা বেশ আলোড়ন ফেলেছে বাংলাদেশে। রংপুরে এক শিক্ষককে সেখানকার জেলা প্রশাসক ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করেছেন- এ অভিযোগে ওই শিক্ষক প্রতিবাদ জানালে তার খবর ও ছবি অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তখন থেকেই শুরু হয় আলোচনা, বিতর্ক।

সম্প্রতি রংপুরে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সেখানকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। তার অভিযোগ জেলা প্রশাসক তাকে ‘স্যার’ সম্বোধন করতে বাধ্য করেছেন। খবর বিবিসির।

পরবর্তীতে গণমাধ্যমে খবর আসে, জেলা প্রশাসক ওই শিক্ষকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই খবর ও ছবিও দ্রুতগতিতে ভাইরাল হয়ে যায়। উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে সবসময়ই জোর দিয়ে বলা হয়েছে ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলার কোনো বিধান বা আইন নেই। বরং সেবা করাই সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজ।

কিন্তু তারপরও কেন এমন ঘটনা বারবার আলোচনায় আসে?

এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ভুক্ত কর্মচারী জিজ্ঞাসিত হলে তারা জানান, মানসিকতা একটা বড় কারণ। এটা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।

উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের নারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সেই অভিজ্ঞতা থেকে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান মনে করেন, একটা কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা পুরো আমলাতন্ত্রের মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

তিনি বলেন, রংপুরের ঘটনাটা একটি ভালো উদাহরণ। জনগণের মধ্যে থেকেও যদি এরকম প্রতিবাদ আসতে থাকে, তাহলে একটা চাহিদা সৃষ্টি হয়, সেটার প্রতিফলন একসময় ঘটতে বাধ্য। তবে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হলে হবে না। প্রতিবাদ সবাইকে করতে হবে।

এছাড়া, নিয়োগ প্রক্রিয়া ও প্রশিক্ষণেও অনেক পরিবর্তন আনা জরুরি বলে মনে করেন কেউ কেউ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই বেশি মানুষের সঙ্গে মেশার অভ্যাস যদি থাকে সেটা অনেক সময় ফ্রন্টলাইনার সরকারি কর্মকর্তাদের কাজে সাহায্য করে, নিয়োগের সময় এগুলো দেখা উচিত।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App