মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৪৫ এএম
ছবি: সংগৃহীত
অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তেমন বড় কোনো পুঁজি গড়তে পারেনি কিউইরা। ২৭৪ রানে আটকে গিয়ে বোলিং আক্রমণের ওপর ভরসা করে খেলতে নামে ল্যাথামের দল। লঙ্কান ব্যাটারদের মাত্র ৭৬ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ১৯৮ রানের রেকর্ড গড়া জয় তুলে নেয় তারা। অন্যদিকে ব্যাটিং স্কোয়াডে বাবর-রিজওয়ানের অনুপস্থিতিতে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। কম পুঁজি নিয়ে পাকিস্তানের বোলাররা লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয়।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো করতে পারেনি কিউইরা। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে ওপেনার চ্যাড বাওয়েস লাহিরু কুমারার বলে দিলশানের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। এরপর তিনে নামা উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধেন আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন। দুই ব্যাটারের জুটিতে স্কোরবোর্ডের চাকা সচল ছিল নিউজিল্যান্ডের। তবে তা খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। তিনে নামা উইল ইয়ং ফিরে যান ২৮ বলে ২৬ রান নিয়ে। এর পরের জুটিতে অ্যালেন ও মিচেল স্কোরবোর্ডে আরো কিছু রান যোগ করেন। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ধারাবাহিক উইকেট পতনে ২৭৪ রানে গিয়ে থামে কিউইদের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। তাছাড়া ৪৯ রানে বিদায় নেন রাচিন রবীন্দ্র এবং ৪৭ রানে বিদায় নেন মিচেল। তিন ব্যাটারের এমন সংগ্রহে মোটামুটি লড়াই করার মতো একটি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় কিউইরা।
লঙ্কানদের ইনংস শুরু হওয়ার আগে সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ২৭৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে কিউইদের প্রতিরোধ গড়ার সক্ষমতা নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা সব প্রশ্নের জবাব দিতে শুরু করেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। তৃতীয় ওভারেই ৬ বলে ৪ রান করে রান আউট হয়ে বিদায় নেন নুয়ানিডু ফার্নান্দু।
এর পরের ওভারেই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা শিপলির হেনরি শিপলির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। অষ্টম ওভারে ফের শিপলির বলে ধরা পড়ে ডাক মেরে বিদায় নেন কুশাল মেন্ডিস। চারে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সবচেয়ে বড় ইনিংস খেলেন। তিনি ২৫ বলে ১৮ রান নিয়ে টিকনারের বলে লেগ বিফোরে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর একে একে চারিথ আসালাঙ্কা ১২ বলে ৯ রান নিয়ে, অধিনায়ক দাসুন শানাকা গোল্ডেন ডাক মেরে বিদায় নেন। লঙ্কান ব্যাটারদের এমন ধারাবাহিক পতনে মাত্র ৭৬ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। এর আগে গত বছরে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা ভারতের বিপক্ষে ৭৩ রানে অলআউট হয়ে মাঠ ছাড়ে। গতকালের ম্যাচে লজ্জাজনক ৭৩ রান টপকাতে পারলেও ব্যাটাররা যেতে পারেননি বেশিদূর। তাদের এমন ব্যর্থতায় ঘরের মাঠে ১৯৮ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।
আরেকদিকে ৯৩ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ অনেকটা জমিয়েই তুলেছিল পাকিস্তানের বোলাররা। ৪৫ রানেই আফগানদের প্রথম ৪ উইকেট তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান। তবে এরপর মোহাম্মদ নবী ও নজিবউল্লাহ জাদরানের ৫৩ রানের জুটি আফগানিস্তানকে জয় এনে দেয়। বল হাতে দুই উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৮ রান করে ম্যাচসেরা হন নবী। নজিবউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ১৭ রান করে। এই ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার এহসানউল্লাহ নেন ২ উইকেট। ৬ উইকেটের এই জয় নিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান।