×

সারাদেশ

পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেল হস্তান্তর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৮ পিএম

পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেল হস্তান্তর

ছবি: ভোরের কাগজ

পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেল হস্তান্তর

স্বাধীনতা দিবসে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলটি বন্দরের চেয়ারম্যানে রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছেন বেলজিয়ামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানডিনুলের প্রকল্প পরিচালক ইয়ান মোয়েন্স।

রবিবার (২৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পায়রাবন্দর সভা কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেলটির হস্তান্তর করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মুহিববুর রহমান, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এমমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, স্কিম পরিচালক রাজীব ত্রিপুরা, প্রকল্প পরিচালক জ্যা জ্যান মুয়েনসসহ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো.মুহিববুর রহমান বলেন, ক্যাপিটাল ড্রেসিং শেষ হবার ফলে পায়রা বন্দর একটি শ্রেষ্ঠ বন্দরে পরিণত হয়েছে। এ বন্দরের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটবে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, পায়রা বন্দর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম স্মার্ট বন্দর। এ বন্দর এখন আর সম্ভাবনা নয়, বাস্তবতা । এটি প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি আধুনিক মাস্টারপ্লানের আওতায় এই বন্দরটি ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬.৫০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। আগামীতে বন্দরে প্রথম টার্মিনালের সাথে যুক্ত হচ্ছে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। কন্টেইনার টার্মিনাল -১, কন্টেইনার টার্মিনাল -২ ,লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল, কোল টার্মিনাল, এলএনজি টার্মিনাল। ইতিমধ্যে বন্দরকে ঘিরে দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এখানে গড়ে উঠেছে পায়রা শিল্প নগরী, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শিল্প ব্রেকিং-ইন্ডাস্ট্রি, ডক ইয়ার্ড, বিমান বন্দর। খুব শিঘ্রই পায়রা বন্দর হয়ে উঠবে দক্ষিণ এশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র।

স্কীম পরিচালক কমডোর রাজীব ত্রিপুরা বলেন, দীর্ঘ ৭৫ কি. মি. চ্যানেল এই ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাস্তবায়নের আগে দীর্ঘ কয়েক বছর স্ট্যাডি ও সমীক্ষা করা হয়েছে। এই স্ট্যাডি হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে চুড়ান্তভাবে আন্তর্জাতিক ডিজাইন করে ক্যাপিটাল ড্রেজিং করা হয়।

প্রজেক্ট পরিচালক জ্যা জ্যান মুয়েনস বলেন, বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রার ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং এর কাজে সরাসরি যুক্ত হতে পারা জ্যান ডি নুল এর জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। সাফল্যজনক ভাবে খনন শেষ করে আজ খুবই আনন্দিত। এই সাফল্যের মাধ্যমে বেলজিয়াম এবং বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্ব উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। এছাড়াও জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদদেরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে তাদের আত্মার মাফরেফাত কামনা করা হয়।

এ ড্রেজিং কার্যক্রমের ফলে রামনাবাদ চ্যানেলটি ১০.৫ মিটার গভীরতায় উন্নীত হয়েছে। এর ফলে ২২৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৩২ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট প্যনাম্যাক্র আকৃতির বড় জাহাজ ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মে. টন পণ্য নিয়ে সরসরি বন্দরে ভীড়তে পারবে বলে এ প্রেসব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App