×

সারাদেশ

জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্রের আদলে সবজির মাঠ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৫ এএম

জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্রের আদলে সবজির মাঠ
জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্রের আদলে সবজির মাঠ

ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা দিবসকে উপলক্ষ করে জাতীয় পতাকা, স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্রের আদলে মাঠ সাজিয়েছেন শেরপুরের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার পর থেকেই ধান খেতে জাতীয় পতাকা আর সবজি দিয়ে সাজানো স্মৃতিসৌধ ও মানচিত্র দেখতে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ।

পাখির চোখে সবুজের প্রান্তরে জাতীয় পতাকা আর পাশের মাঠে রঙিন সবজিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিসৌধ ও বাংলাদেশের মানচিত্র।

ধানের মাঠে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ, ৯৬ ফুট প্রস্থ ও ৩২ ফুট বৃত্তের ব্যাসার্ধের জাতীয় পতাকা তৈরি করেছে শেরপুরের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এবারই প্রথম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়েছে।

জনসাধারণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এ মাঠটি উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক। শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) এর প্রায় ৪৩ একর জমির বিশাল এলাকায় ধান ও সবজির প্রদর্শনী প্লট। এর মাঝে সবার দৃষ্টি কাড়ে বিশাল এক পতাকা। পতাকার সবুজ অংশ বঙ্গবন্ধু-১০০ ও হাইব্রিড এবং মাঝখানে বৃত্তের লাল অংশ দুলালী সুন্দরী ধানের চারা দিয়ে সাজানো হয়েছে।

পতাকার মাঝখানে লাল বৃত্ত দিয়ে বুঝানো হয়েছে লক্ষ শহীদের রক্ত ও সবুজ অংশ দিয়ে বুঝানো হয়েছে বাংলার প্রকৃতিকে। পাশেই সবজির প্লটে লাল শাক ও পাট শাকের চারা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র ও স্মৃতি সৌধ। ইতিমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো ধানের খেত। প্রতিদিনই উৎসুক মানুষ আসছে ব্যতিক্রমী এই ধান ক্ষেত দেখতে।

স্থানীয় কবি ও সাহিত্যিক আব্দুল আলীম বলেন, এমন একটি সুন্দর কাজ দেখে সত্যিই খুশি হয়েছি। আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে এভাবেই সচেতন করতে হবে।

বর্তমান প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল আজম খান।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুকে জানতে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শেরপুর জেলায় এটাই ব্যতিক্রমী ও প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রশংসা জানিয়েছেন সরকার দলীয় হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক। তিনি বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধকে জানাতে এখানে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এতে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পেয়েছি। এবার আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।

কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মতো অন্য সবাইকে এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি স্থানীয়দের।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App