×

জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আটকে যায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আটকে যায়

ছবি: ভোরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আটকে যায়

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বিরোধিতার কারণে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আটকে যাওয়ার অভিযোগ করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। ফলে গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে গেলে তাদের বিরোধিতায় আটকে যায়।

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন তিনি। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ এই আলোচনা সভার আয়োজিত করেন।

১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া যাবে বলে মনে করেন কে এম খালিদ। তিনি বলেন, গণহত্যা নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা গবেষণা করছে। অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের নেতৃত্বে এই গবেষণা চলছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার বধ্যভূমি চিহ্নিত করা হয়। এখন পর্যন্ত যে তথ্য আমরা পাচ্ছি, তাতে গণহত্যার শিকার মানুষের সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি হবে। সুতরাং সংখ্যা নিয়ে যারা বিতর্ক করেন, তাদের ধারণা অমূলক। সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে আছে। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আমরা নানা পদক্ষেপ নিচ্ছি। খুব শিগগিরই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে যাব।

বাংলাদেশের গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণহত্যা আমি নিজের চোখে দেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল ও জগন্নাথ হলের সবাইকে হত্যা করা হয়। এক রাতে ১ লাখ মানুষ হত্যা করা হয়ছে। আমার নির্বাচনী এলাকা মুক্তাগাছার কাছে ব্রহ্মপুত্র নদীর চরে হত্যার শিকার কয়েক শ মৃতদেহ দেখেছি। সেখানে হত্যার শিকার আমার বন্ধু রমজানের মৃতদেহের হাড়গোড় একটা কাপড়ে বেঁধে তার রিকশাওয়ালা বাবা দৌড়াতে দৌড়াতে চিৎকার করেছেন। আমি সেই দৃশ্য নিজের চোখে দেখেছি। সুতরাং কারা বলে গণহত্যা হয়নি?

সভার সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লন্ডন, ব্রিসবেনহ বিভিন্ন শহরে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গণহত্যা নিয়ে অধিকাংশ লেখা বাংলায় আছে। এটি ইংরেজি, ফরাসি ও ল্যাটিন ভাষায় অনুবাদ করা দরকার। দেশের ১৮ কোটি মানুষের দাবি হওয়া উচিত গণহত্যার আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, অনেকে প্রশ্ন তোলেন, ৯ মাসে কীভাবে এত মানুষকে হত্যা করা সম্ভব? বাংলাদেশের জনঘনত্ব বেশি হওয়া বেশি মানুষকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে এখনো গণহত্যার স্বীকৃতি পাচ্ছে না।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্যসচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চন্দ্রনাথ পোদ্দার, রেভারেন্ট মার্টিন অধিকারী, আবুল ফারুক প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App