পরিকল্পনা মন্ত্রী
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের কল্যাণে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই বর্তমান সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে তাদের সম্মান নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আজ শনিবার(২৫ মার্চ) সকাল ১০টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস উজানীগাঁও রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন শহীদ তালেব উদ্দিন ও কৃপেন্দ্র দাসের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে দিচ্ছে। শুধু জীবদ্দশায় নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পরেও তাদের যথাযোগ্য সম্মান দেয়া হচ্ছে।
পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার উজ জামান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার, স্থানীয় সরকার (এলজিইডি) প্রকৌশলী আল নুর তারেক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ আহমদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আতাউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা অবনী বিশ্বাস, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন, শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমদ, অর্থ সম্পাদক সোহেল তালুকদার প্রমুখ। অপরদিকে সকাল সাড়ে ১১টায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দিরাই হাতিয়া গ্রামের সুনামগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগ নেতা তালেব উদ্দিন ও পাগলা ব্রাহ্মণগাঁও’র কৃপেন্দ্র দাসসহ অজানা আরো এক মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহীনিদের হাতে বন্ধি হন। তাদেরকে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী সুনামগঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার সময় আহসানমারা ফেরী ঘাটে গুলি করে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়ে যায়। তাদের এই তিনটি লাশ নদীর স্রোতে ভেসে উজানীগাও গ্রামের জয়কলস উজানীগাও রশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সুরমা নদীর তীরে এসে ভেসে উঠে। পরে স্থানীয় লোকজন শহীদের রক্তাক্ত লাশগুলো দেখতে পেয়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলার উজানিগাঁও রাশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে এনে একটি কবরস্থানে সমাহিত করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।