রোজায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখাতে যা খেয়াল রাখবেন

আগের সংবাদ

শ্যামনগরে মাছের ঘেরী থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পরের সংবাদ

দেশে প্রতিদিন যক্ষ্মায় ১০০ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ১:৪৯ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ২৪, ২০২৩ , ৩:০০ অপরাহ্ণ

যক্ষ্মা দিবস আজ। এই দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে যক্ষ্মায় প্রতিদিন ১০০ জনের বেশি মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক সময়ে যক্ষ্মা শনাক্ত ও সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করলে ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়া সম্ভব।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস ২০২৩। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‌‘হ্যাঁ, আমরা যক্ষ্মা নির্মূল করতে পারি।’

বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা নির্মূলে গবেষণার পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ডেমিয়েন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. মাহফুজা রিফাত বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির অধীনে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখের মতো রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী হয়তো চিকিৎসা সেবার বাইরে থেকে যায়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন রোগটিতে ১০৭ জনের মৃত্যু হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংখ্যা দৈনিক ১৮৫।

সরকারের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির দেওয়া তথ্য বলছে, ২০২১ সালে যক্ষ্মার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ২৮ লাখের বেশি মানুষের পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময় ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ জন নতুন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে দৈনিক ৮৪২ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। তবে যক্ষ্মা থেকে সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ২৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডা. মো. মাহফুজার রহমান সরকার বলেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং সহযোগী সংস্থাগুলো গত কয়েক দশকে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং ২০১২ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ২৩ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষের শরীরে টিবি বা যক্ষ্মা আছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস মাত্র ৮ থেকে ১০টি দেশে। সেই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আশার দিক হলো, অতীতের চেয়ে যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০২ সালে যেখানে বছরে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত, এখন সেটা কমে ৪০ হাজারে নেমেছে। তবে কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়।

তিনি বলেন, যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। রোগী শনাক্তকরণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা এবং ওষুধ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারের একার পক্ষে এই সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। সবাই এগিয়ে এলে ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মা নির্মূল সম্ভব হবে।

এসএম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়