×

সারাদেশ

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রের যাবজ্জীবন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম

মেহেরপুরে হত্যা মামলায় পিতা-পুত্রের যাবজ্জীবন

ছবি: মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ষোলটাকা গ্রামের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন হত্যা মামলায় পিতা মালেক জোয়ার্দার (৬০) ও তার ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের দুজনের যাবজ্জীবন সশ্রম করাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরের দিকে মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা গাংনী উপজেলার যোলটাকা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ২৫ মে আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে তার লোকজন ষোলটাকা গ্রামের কফিল উদ্দিনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। পরে মালেকের নির্দেশে রাফাতুল ইসলামকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা শুনে তৎকালীন ইউপি সদস্য রাফাতুল ইসলামের ভাতিজা কামাল হোসেন জোড়পুকুরিয়া থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। কামাল হোসেন আসামি মালেকের বাড়ির সামনে এসে পৌঁছালে আব্দুল মালেকের নির্দেশে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহত কামালের ভাতিজা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন, আব্দুল মালেক, সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস, আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শহিদুল ইসলাম শেখ প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামি আলমগীর হোসেন এবং আব্দুল মালেক দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এই করাদণ্ড দেন।

মামলার অপর আসামি সবতুল্যাহ বিশ্বাস, রাফাতুল্যাহ বিশ্বাস, আব্দুল গনি, মাজেদুল হক, মাজহারুল ইসলাম, রাজু বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম ও তমিরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি কাজী শহীদ এবং আসামি পক্ষে এ কে এম শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App