মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে এ ঘটনায় ছাত্রীর চাচা তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ধর্ষণকারীসহ আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত ওই তিনজন হলো, উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের মো. জামাল বাদশা (১৮), মো. রাসেল (২২) ও মো. অভি শেখ (১৬)। এদের মধ্যে জামাল বাদশা বরংগাইল কলেজের ও অভি দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী এবং রাসেল নৌকা চালক।

পুলিশ, এজাহার ও পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ওই ছাত্রী। বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে জামাল বাদশা তাকে প্রেম নিবেদন করে আসছিলো। বুধবার সকাল সাতটার দিকে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে তেওতা জমিদার বাড়ির একটি ভবনের ছাদে নিয়ে যায় জামাল ও তার সহযোগী রাসেল। এরপর তাকে কুপ্রস্তাব দেয় জামাল। এতে রাজি না হয়ে ওই ভবনের ছাদ থেকে নেমে যাওয়ার সময় রাসেল তাকে ছুরির ভয় দেখায় আর জামাল ধর্ষণ করে। এ সময় রাসেল ভবনের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে পাহারা দেয়। পরে জামাল ও রাসেল সেখান থেকে চলে যায়।

এরপর বিকেলে ওই ছাত্রী আরিচা বন্দর এলাকায় বারুণী স্নান উপলক্ষে আয়োজিত মেলায় যায়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পূর্ব পরিচিত অভি শেখের সঙ্গে দেখা হলে তাকে কোমল পানীয় পান করানো হয়। কৌশলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে অভি শেখও নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী অচেতন হয়ে পড়লে অভি সটকে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন  ওই তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে মেয়েটিকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

বিকেলে মেয়েটির চাচা বাদি হয়ে ওই তিনজনকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন। এর মধ্যে জামালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা ও অভির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করা হয়।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ নূর-এ আলম বলেন, এ ঘটনায় দুপুরে ওই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া, জেলা সদর হাসপাতালে মেয়েটির স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করা হয়েছে। শুক্রবার আসামিদের আদালতে পাঠানো হবে।