যৌতুকের জন্য বিচারপতির ভাতিজিকে হত্যা, রিমান্ডে স্বামী

আগের সংবাদ

সিলেটে লিটনের ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি

পরের সংবাদ

পা ধরতে বাধ্য করায় বিচারক বদলি

প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ৭:১৮ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ২৩, ২০২৩ , ৭:১৯ অপরাহ্ণ

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক অভিভাবককে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করানোর অভিযোগে অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের বিচার শাখা থেকে একপি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মিজানুর রহমানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাকে বদলি করতে সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে অত্র কোর্ট একমত পোষণ করেছেন।

এর আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন- এমন অভিযোগে স্কুলের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা নিয়মানুসারে পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে। কিছুদিন আগে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। সোমবার শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল তার। জজের মেয়ে হওয়ায় সে ঝাড়ু দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। ওই রাতে ফেসবুকে সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে ও তার মা জজ উল্লেখ করে সে পোস্ট দেয়। এ ছাড়া সহপাঠীদের মাকে তার মায়ের মতো জজ হতে বলে।

বিষয়টি জানতে পেরে জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে ওই ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে চার ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনের কক্ষে যান। ওই সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও জেলে পাঠানোর হুমকি-ধমকি দেন। এছাড়া দুই অভিভাবককে তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে তিনি বাধ্য করেন। শিক্ষকদের দাবি, জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়ায় দুই অভিভাবক ভয়ে জজের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। পা ধরতে তাদের কেউ বাধ্য করেনি।

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়