রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্র লেখা নাজনীনকে ‘স্যার ডাকতে বাধ্য করার’ অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক। এ সময় একমাত্র শিশুকন্যাও তার সঙ্গে ছিল।
বুধবার (২২ মার্চ) রাত পৌনে ৮টার দিকে ডিসি অফিসের গেটে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে জানান ডিসি। পরে অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে আসেন উমর ফারুক।
উমর ফারুক বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমি ডিসি কার্যালয়ে যাই। কাজ শেষে ডিসিকে বলি, ‘আপা ধন্যবাদ।’ এই কথা বলার পর তিনি বলেন, এই চেয়ারে পুরুষ থাকলে কী বলতেন? উত্তরে বলি, ভাই ডাকতাম। এর পরেই তিনি (ডিসি) বলেন, চেয়ারকে সম্মান করা উচিত…। তখন উত্তরে বলি, সার্ভেন্ট অব স্টেট…। এই কথা বলে চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর আমার মনে হযেছিল, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ডিসিকে স্যার বলতে হবে? তাহলে সাধারণ মানুষ, কৃষক শ্রমিকের কী অবস্থা। এই উপলব্ধি থেকে আমি অবস্থান নিই ডিসি অফিসের সামনে। পরে আমার ছাত্র, সহকর্মীরা এসেছেন। আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, উমর ফারুক অবস্থান কর্মসূচিতে বসার পর ডিসি এসেছেন, বিষয়টি নিয়ে তার (ডিসি) উপলব্ধি হয়েছে বলে জানিয়ে বলেছেন, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। তখন ফারুক উঠে ক্যাম্পাসে গেছেন।
এ নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. চিত্র লেখা নাজনীন বলেন, বিষয়টি তেমন কিছু না। আমাদের জেন্ডার ডেসক্রিপশনের জায়গায় অনেক সময় মেয়ে থাকলে বলা হয় আপা, পুরুষ থাকলে বলা হয় ভাই। গ্রামের লোকেরা আমাকে মা বলে ডাকে, নাম ধরে ডাকলেও সমস্যা নেই।
তাহলে উমর ফারুক কেন অভিযোগ করলেন-জানতে চাইলে ডিসি বলেন, কেন উনি করলেন, জানি না। আমি একটু বিজি আছি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।