×

সারাদেশ

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ

ছবি: মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজি, হয়রানি ও মানহানির অভিযোগে রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলু।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে দশটায় অভিযুক্ত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সাদ্দামকে প্রধান আসামী করে ৪/৫ জন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মির্জাগঞ্জ থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত সাদ্দাম উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের আবদুল মজিদ মুন্সির ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম সাদ্দাম একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় গত রবিবার (১২ মার্চ) ওই চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে ‘মির্জাগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের চাল নিয়া চালবাজি’ শিরোনামে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন।

এর আগে শনিবার (১১ মার্চ) সংবাদটি প্রকাশ না করার শর্তে মুঠোফোনে চেয়ারম্যানের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই সাংবাদিক। ওইদিনই আনুমানিক রাত আটটার সময় উপজেলা পরিষদের পুকুরের ঘাটলার উপর ওই সাংবাদিকের সাথে চেয়ারমানের দেখা হয়। তখন সে পুনরায় দাবিকৃত চাঁদার টাকা চাইলে চেয়ারম্যান তার সাথে থাকা নগদ ১৬ ষোল হাজার টাকা তাকে দেয়। তখন ওই সাংবাদিক তার সাথে আরো লোক আছে বলে বাকি ৮৪ হাজার টাকা দুই দিনের মধ্যে দিতে হবে বলে চাপ দেয়।

কিন্তু পরের দিনই (১২ মার্চ) সে নিউজটি প্রকাশ করে। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে পরদিন (১৩ মার্চ) একটি সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান। এতে সে (সাদ্দাম) ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুর আনুমানিক পৌনে দুইটার সময় অজ্ঞাত কয়েকজন লোকসহ পরস্পর যোগসাজসে মটরসাইকেল যোগে চেয়ারম্যানের বসতঘরের সামনে যায়। তখন চেয়ারম্যান বাসা থেকে বের হলে তার (সাদ্দাম) পূর্বের দাবিকৃত চাঁদা চাইলে চেয়ারম্যান দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার বসত ঘরের (বিল্ডিং) বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলের ছবি তুলতে থাকে। তখন চেয়ারম্যান তার ঘরের ছবি তুলতে নিষেধ করলে অভিযুক্ত সাংবাদিক সাদ্দাম ও তার সাথে থাকা লোকদের সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম চেয়ারম্যানকে উদ্দেশে বলে ‘তোর কাছে ১ লাখ টাকা চাইছিলাম, কিন্তু তুই ১৬ হাজার টাকা দিছো, বাকি ৮৪ হাজার টাকা দাও নাই, বাকি টাকা দিয়া দিবি’

অন্যথায় তার (চেয়ারম্যান) বসত ঘরের ছবিসহ ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিবে বলিয়া বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম সাদ্দামের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App