×

আন্তর্জাতিক

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ দূতের আহ্বান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ০৩:০১ পিএম

মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ দূতের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের মিয়ানমার মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ দেশটিতে সামরিক জান্তার নিপীড়নের জবাবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সমন্বিত উদ্যোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে সঙ্কট চলছে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিক্ষোভকারীরা। রক্তক্ষয়ী আন্দোলন, সংঘাত, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বিক্ষোভে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে। গঠিত হয়েছে জান্তাবিরোধী সরকার এবং প্রতিরোধ বাহিনী।

সোমবার জেনিভায় মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ সাংবাদিকদের বলেছেন, জান্তার সহিংসতার কারণে বিরোধী পক্ষ শক্তিশালী হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমার জান্তার বিরুদ্ধে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ এবং বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা সংগঠনকে নিশানা করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে তা সামরিক নেতৃত্বকে আরও দুর্বল করে দেবে। “তাদের (মিয়ানমার জান্তা) অভ্যুত্থানের শুরুর দিকে দেশের ওপর যতটা নিয়ন্ত্রণ ছিল এখন তার চেয়ে কম নিয়ন্ত্রণ বজায় আছে। আমরা আমাদের মধ্যে সমর্থন বাড়ালে এবং এর সমন্বয় সাধন করে পদক্ষেপ নিলে তা উল্লেখযোগ্য ফল বয়ে আনবে বলে আমি মনে করি,” বলেন অ্যান্ড্রুজ।

সোমবার মানবাধিকার পরিষদে ভাষণ দিয়েছেন অ্যান্ড্রুজ। সেখানে তিনি বলেন, মিয়ানমার জান্তাকে কীভাবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দেওয়া যায় সেটি নিয়ে দেশগুলোর বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা উচিত। এই বিচার-বিশ্লেষণের পর “একযোগে সমন্বিত উদ্যোগে মিয়ানমার জান্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পথেই তাদের আগানো উচিত।”

অ্যান্ড্রুজ আরও বলেন, “কয়েকটি দেশের মধ্যে সমন্বয়ের কিছু নজির আছে। তাই আমি বলছি, আসুন আমরাও সেই উদ্যোগ নেই।” মিয়ানমারে ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কিছুদিন আগেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে দেখা গেছে, সেনাবাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ, লোকজনকে উচ্ছেদ করতে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া এবং মানবিক ত্রাণ প্রবেশে বাধার কারণে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সহিংসতা বেড়েছে।

ঘনীভূত হতে থাকা বিপর্যয় রোধে জরুরি এবং বাস্তব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক। মিয়ানমার জান্তা সরকার এর আগে বলেছিল, দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা তাদের দায়িত্ব। দেশে কোনওরকম নৃশংতা চলার কথা অস্বীকার করে তারা বলেছিল, কেবল সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযান চালানো হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App