×

জাতীয়

নববধূ পারভীন হত্যা মামলার রায় ৫ এপ্রিল

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম

নববধূ পারভীন হত্যা মামলার রায় ৫ এপ্রিল

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১০ বছর আগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকায় নববধূ মনিরা পারভীনকে যৌতুকের জন্য হত্যা মামলায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে আগামি ৫ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন রায় প্রস্তুত হয়নি। এজন্য আদালত রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৫ এপ্রিল ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মনিরার স্বামী নাসির হোসেন, ভাই মাসুদ, বোন হাসিনা ও তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন ও নাসিরের চাচা দিন ইসলাম। এরা সবাই জামিনে আছেন। জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫ টার মনিরা ওষুধ কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসে না। পরিবার তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না। পরদিন লোকমুখে জানতে পারেন নাসির হোসেন কাজী অফিসে নিয়ে তাকে বিয়ে করেছে। একথা শোনার পর মনিরার বাবা মোস্তফা নাসিরের বাবা হাছেন আলীর কাছে যান এবং মেয়েকে উদ্ধার করে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না দিলে বাবা, মেয়েকে খুনের হুমকি দেন তিনি। পরদিন নাসির মনিরাকে নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার সাথে সাথে নাসিরের বাবা, মাসহ পরিবারের অন্যরা মিলে মনিরাকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারপিট, কিল, ঘুষি, মাথার চুল টেনে গুরুতর জখম করে পাশের একটি বালুর মাঠে ফেলে রাখেন। স্থানীয় লোকজন মনিরাকে উদ্ধার করে আশিয়ান সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুন সকালে মারা যান মনিরা।

এ ঘটনায় ২২ জুন মনিরার বাবা মোস্তফা খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় নাসিরের বাবা, মা, চাচাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। তবে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App