×

জাতীয়

জামিনে কারামুক্ত জঙ্গি, কিছুই জানে না রাষ্ট্রপক্ষ!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম

জামিনে কারামুক্ত জঙ্গি, কিছুই জানে না রাষ্ট্রপক্ষ!

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার আদালতে জঙ্গি ছিনতাই মামলায় আটক নাসির মিয়া ফারুক হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়ে গেছে। তবে  এ ব্যাপারে কিছুই জানে না রাষ্ট্রপক্ষ! এমন কি তথ্য নেই মামলা সম্পর্কেও! গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তার জামিন বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) নাসির মিয়ার জামিন আদেশের অনুলিপি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ফজলুল হক জানিয়েছেন, নাসির মিয়ার জামিন বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। এর আগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মূল ফটক থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তিন জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তারা হলেন- খোতেজা আক্তার লিপি, নাসির মিয়া ও তানভীর হোসেন। তারা এ মামলার এজাহারনামীয় আসামি ঈদী আমিনের আশ্রয়দাতা। গত ২৭ নভেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মামলার ১৩ নম্বর এজহারনামীয় আসামি ঈদী আমিন। এর আগে গত ২০ নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে দুই জঙ্গিকে একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে তাদের হাজতখানার দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এসময় পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিবকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। এই দুই জঙ্গি দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ পরিকল্পনার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটরসাইকেলে করে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতপরিচয় ৫/৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, রোববার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কাশিমপুর থেকে ১২ জন আসামিকে ঢাকার আদালতে প্রিজন ভ্যানে নিয়ে আসা হয়। সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার প্রসিকিউশন বিভাগে আসামিদের হাজিরা দেওয়ার জন্য সিজেএম আদালত ভবনের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল ৮-এ নিয়ে যাওয়া হয়। এ মামলার শুনানি শেষে জামিনে থাকা ১৩ নম্বর আসামি মো. ঈদী আমিন (২৭) ও ১৪ নম্বর আসামি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি (২৪) আদালত থেকে বের হয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছানো মাত্র হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয় জঙ্গিরা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App