×

সারাদেশ

ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তিন শিক্ষকের ওপর হামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম

ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তিন শিক্ষকের ওপর হামলা

ছবি: আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় তিন শিক্ষকের ওপর হামলা করেছে বখাটেরা। গত সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে উপজেলার গোপালপুর বায়তুল ফালাহ্ দাখিল মাদ্রাসার পাশে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই মাদ্রাসাটির সুপার আ. সামাদ শেখ বাদী হয়ে তিন বখাটে যুবকের নাম উল্লেখপূর্বক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলো, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের চাঁন খানের ছেলে রমিম খান (২০), আকবর খানের দুই ছেলে রনি খান (২০) ও রুবেল খানসহ (২২) অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির দুই ছাত্রী মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা তাদের উত্যক্ত করে। পরে ছাত্রীরা বিষয়টি তাদের মাদ্রাসা শিক্ষকদের অবগত করেন। সোমবার যোহরের নামাজ আদায় শেষে মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে অভিযুক্তদের মসজিদ সংলগ্ন মুদি দোকানের সামনে দেখতে পায়। এরপর তাদের উপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা শিক্ষকদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আজেবাজে কথা বলে তাদের অপমান অপদস্ত করে।

পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্যকে জানালে তারা মীমাংসা করে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু মাদ্রাসা ছুটি হলে শিক্ষকরা মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক কুবাদ শেখ, তৈয়াবুর রহমান ও তৌহিদুল ইসলাম গুরুতর আহত হলে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত রনি খান ও রুবেল খানের বাবা আকবর খান বলেন, আমার ছেলেরা কাউকে উত্ত্যক্ত করেনি। বড় ছেলে রুবেল খান এ ঘটনার সঙ্গে একদমই জড়িত না। সে মারামারি ঠেকাতে গিয়েছিল।

জানতে চাইলে গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান বলে, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আমরা মাদ্রাসায় গিয়ে উভয়পক্ষকে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা জানাই। কিন্তু পরবর্তীতে মাদ্রাসা ছুটি শেষে শিক্ষকরা বের হলে তাদের ওপর হামলা করার খবর জানতে পারি।

আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু শহিদ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তৎক্ষণাৎ অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমি সার্বক্ষণিক মাদ্রাসার খোঁজ-খবর রাখছি। আজ সকালেও মাদ্রাসায় একটি মনিটরিং টিম পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App