আজ ২১ মার্চ বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস। বিশ্বে ১৮তম এবং বাংলাদেশে দশমবারের মত উদযাপিত হলো বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস।
ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বতঃস্ফুর্তভাবে উদযাপিত হয় দিবসটি। ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাল্টি পারপাস হলে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান ঘুরে মূল ফটকে এসে শেষ হয়।
ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের অভিভাবক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, উন্নয়নকর্মী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।
ইউনিভার্সিটির মাল্টি পারপাস হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবুল কাসেম মিয়া, ইউনাইটেড ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ জেড এম ফজলুর রহমান, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেনডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হসপিটালের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সরদার এ নাঈম। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাক।
তিনি তার সূচনা বক্তব্যে বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। সূচনা বক্তব্যের পর বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস ২০২৩ এর উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. খন্দকার এ মামুন।
তিনি ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠির ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে প্রযুক্তির ব্যবহার ও ভূমিকার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে একাডেমিয়া, সরকারি ও বেসরকারি পদক্ষেপের সমন্বয় সাধনের উপর জোর দেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের প্রতিবন্ধী-বান্ধব কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করেন। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করেন।
বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উদযাপনের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, কিশোর ও ব্যক্তিরা মনোমুগ্ধকর নৃত্য, গান, ফ্যাশন শো’র মাধ্যমে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।