×

জাতীয়

স্বামীর ওষুধ কিনতে গিয়ে প্রতারকের খপ্পরে স্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪০ পিএম

স্বামীর ওষুধ কিনতে গিয়ে প্রতারকের খপ্পরে স্ত্রী

প্রতীকী ছবি

স্বর্ণালংকার, মুঠোফোন ও টাকা নিয়ে সটকে যায় প্রতারক চক্র

রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা রিয়াজুল হাসান রতনের দুটো কিডনিই নষ্ট। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি তিনি। স্ত্রী মরিয়ম রহমান স্বামীর ওষুধ কিনে হাসপাতালে ঢোকার সময় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পরেন। চক্রটি মরিয়মের সঙ্গে কথা বলার পর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মরিয়ম। এরপর যখন তিনি স্বাভাবিক হন তখন দেখতে পান তার গলার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও কাছে থাকা ব্যাগ (দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিল) সবকিছু নিয়ে সটকে পরেছে চক্রটি। অসহায় ওই নারী দ্রুত ছুটে যান মিরপুর মডেল থানায়। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে একটি অভিযোগও করেছেন। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ।

অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে অসহায় ওই নারীর সঙ্গে রবিবার সকালে এমন ঘটনা ঘটেছে। তার বাসা মিরপুর মডেল থানাধীন ১৩২/১ সি। রাজধানী জুরেই এমন প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে। তবে মিরপুর এলাকায় এমন ঘটনা হরহামেসায় ঘটছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আমরা ঘটনাটি শোনার পরই তাৎক্ষণিক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি।

ভুক্তভোগী মরিয়মের মিরপুর মডেল থানায় করা অভিযোগ সূত্র জানিয়েছে, রবিবার সকালে মিরপুর মডেল থানাধীন শিশু হাসপাতালে সামনে থেকে স্বামীর জন্য ওষুধ কিনে পায়ে হেটে মিরপুর দুই নম্বরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা করেন। এসময় অজ্ঞাতনামা তিন জন ব্যক্তি (বয়স আনুমান ২৫-৩০ বছর) মরিয়মের কাছে এসে গল্পের ছলে বিভিন্ন রকম কথা বলে কৌশলে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের পেছনের গলিতে নিয়ে তাকে চেতনানাশক দ্রব্য দ্বারা প্রায় অচেতন করে গলায় ও কানে থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও দুটি কানের দুল, ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি স্বাভাবিক হয়ে দেখতে পান সব কিছু নিয়ে গেছে চক্রটি।

মরিয়ম রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমার স্বামী কিডনির রোগে ভুগছেন। এখন তার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা কিডনি পরিবর্তন করতে বলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে প্রতারকেরা। আমি কতটা খারাপ অবস্থায় আছি তা কাউকে বোঝাতে পারব না।

তিনি আরো বলেন, আমার সঙ্গে কথা বলার পর কি হলো কিছুই বুঝতে পারি নাই। কিছুসময় পরে দেখি আমার কাছে কিছুই নেই।

ঘটনার পর থেকে তদন্ত কার্যক্রমে যুক্ত মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহাগ রানা বলেন, আমরা ঘটনাস্থলের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App