×

সারাদেশ

শিশুর লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:০১ পিএম

শিশুর লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ

ছবি: দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ছয় বছরের শিশু তানিশার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে স্বজনরা। শনিবার রাতে ভুট্টা খেত থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হলে ময়না তদন্ত শেষো রবিবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় থানার সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে বিক্ষোভকারীরা লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বিশ্বরোড এলাকায় আধা ঘন্টা অবস্থান নেন। এ সময় মহাসড়করর উভয় পাশে প্রায় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিনুল হাসান, মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করলে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। খুন হওয়া ওই শিশু তানিশা (৬)  উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নের কান্দারগাও গ্রামের প্রবাসী রাসেল মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৩টার পর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তানিশাকে। পরে তার চাচার মোবাইল ফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন করে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

চাচা ফয়সাল জানান, অপরিচিত নাম্বার থেকে  আমার কাছে ফোন করে ভাতিজি তানিশা কোথায় জানতে চায়। বাড়িতে আছে বললে, তারা বলে বাড়িতে নেই, আমাদের কাছে আছে। নিতে হলে দুই লাখ টাকা লাগবে। পরে  বিষয়টি আমাদের মেম্বারকে জানাই এবং বিকাশে তাদের মোবাইলে পঁচিশ হাজার টাকা পাঠাই। মেম্বার পুলিশকে জানায়।

পুলিশ তাদের মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় আহাম্মদ আলীর ছেলে মাহফুজকে (২৫) রাতে আটক করে তার দেয়া তথ্য মতে শনিবার  দিবাগত রাত ৩টায় বাড়ির পাশের ভুট্টার জমি থেকে তানিশার মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং রতন, লিটন ও আশিককে আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় মেম্বার শাজাহান মিয়া বলেন, শনিবার দিনের ৩টায় প্রাইভেট পড়তে গিয়ে তানিশা  নিখোঁজ হয়। পরে জানতে পারি যে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার রাত ৩টায় ভূট্টা খেত থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, হত্যাকারী মাহফুজ, আশিক, লিটন ও রতনকে পুলিশ আটক করেছে। আমরা তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

নিহত শিশুটির মা শারমিন আক্তার, প্রতিদিন মেয়েটি পাশের বাড়ির মোর্শেদা মেডামের কাছে প্রাইভেট পড়তো। কাল (শনিবার) প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে গেলেও মেডামের কাছে যায়নি। পরে খবর পাই যে, মেয়েকে অপহরণ করেছে, তারা দুই লাখ টাকা চায়। পঁচিশ হাজার টাকাও দেয়া হয়েছে। তারপরও তারা আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে বলে বার বার মূর্ছা যান। আমার মেয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই বলে মূর্ছা যান।

দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা বলেন, আটক চারজনের নামসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে শিশুটির মা শারমিন আক্তার অভিযোগ দিয়েছে।  আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App