উত্তর কোরিয়া রোববার (১৮ মার্চ) কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে একটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে পশ্চিম উপকূলের ডংচাং-রি সাইট থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার উড়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

এছাড়াও জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়েছিল। এদিকে, সিউল উত্তরের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের 'স্পষ্ট লঙ্ঘন' বলে নিন্দা করেছে। টোকিও ও ওয়াশিংটন থেকেও এর সমালোচনা করা হয়েছে।

উৎক্ষেপণের পর পরই দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যৌথ বিমান মহড়ায় বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। সিউল ও ওয়াশিংটনের মতে, তারা বর্ধিত প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তোশিরো ইনো এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার আচরণ আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি ও অগ্রহণযোগ্য। জাপান বেইজিংয়ে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রোববারের উৎক্ষেপণ মার্কিন কর্মীদের বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি সৃষ্টি করে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ পিয়ংইয়ংয়ের গণবিধ্বংসী অবৈধ অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির অস্থিতিশীল প্রভাবকে তুলে ধরে।