ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ পাড়ে কাদামাটি সাহিত্য উৎসব

আগের সংবাদ

এশিয়া কাপে আর্চারিতে স্বর্ণ জয় বাংলাদেশের

পরের সংবাদ

মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনা

মরদেহের নিচে মা, সন্তানকে বুকে নিয়ে কাঁদছিলেন

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১:৪০ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৩ , ১:৪২ অপরাহ্ণ

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে কুতুবপুর সীমানা এলাকায় মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এসময় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৯ মার্চ) ভোরে এ দুর্ঘটনার পর কাকতালীয়ভাবে ৭ বছরের শিশু সাজ্জাদ ও আনোয়ারা (২৮) সম্পূর্ণ অক্ষত ছিলেন।

জানা যায়, আনোয়ারা বাগেরহাটের মোল্লার হাট উপজেলার গারবা গ্রামের ব্যবসায়ী শাহিন মোল্লার স্ত্রী। দুর্ঘটনায় তাদের অক্ষত থাকা সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই অকল্পনীয় মনে করছে। মরদেহের নিচ থেকে যখন আনোয়ারা ও তার সন্তানকে উদ্ধার করা হয় তখন তিনি তার ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন।

তাদেরকে দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছে অনেক মানুষ। এবিষয়ে অক্ষত আনোয়ারা জানান, আজ ভোর রাতে বাগেরহাট থেকে তার ছেলেকে নিয়ে ইমাদ পরিবহনে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ঢাকায় অসুস্থ আত্মীয়কে দেখার জন্য যাচ্ছিলেন। চালকের বাম পাশের আসনে বসেছিলাম, আমার ছেলে আমার কোলে ছিল। বাসের বাম পাশের টায়ার পাংচার হয়ে যায়। এরপর গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। আল্লাহ আমাদের দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমার আর ছেলের গায়ে একটুও আঁচড় লাগেনি।

তিনি বলেন, গাড়ি ছাড়ার শুরু থেকেই অনেক বেশি গতিতে চলছিল।

আনোয়ারা ও তার ছেলে সাজ্জাদকে উদ্ধার করা মাহাবুব আলম জানান, আমরা বাস থেকে প্রথমে মরদেহ বের করছিলাম। এরপর দেখি মরদেহের নিচে পড়ে থাকা আনোয়ারা তার সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। এরপর মা ও সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি।

আনোয়ারার স্বামী শহিদুল মোল্লা বলেন, বিধাতার কাছ থেকে আমার সন্তান ও স্ত্রী কে নতুন করে আবার ফিরে পেয়েছি। বিধাতা আমাকে এতো বড় উপহার দিবে কখনো বুঝতে পারিনি। আমি বিধাতার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

এমকে

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়