×

জাতীয়

বিএনপির দুটি গুণ দুর্নীতি আর মানুষ খুন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:০০ পিএম

বিএনপির দুটি গুণ দুর্নীতি আর মানুষ খুন

বিএনপির দুটি গুণ দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থ পাচারকারী তারেক রহমান লন্ডনে আছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে ফিরবে। দুর্নীতিতে বিএনপি পরপর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা। এরা চুরির কথা বলে, ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগরের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, ডা. দিলীপ কুমার রায়, সাজেদা বেগম, সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলাম মনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরাজ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পারুল আকতার প্রমুখ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল দেখতে মনে হয় ভদ্রলোক, আর অন্তরে বিষ। একটা মানুষ এত মিথ্যা কথা বলতে পারে, সেরা মিথ্যাবাদীর নাম মির্জা ফখরুল’। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের দেশ পাকিস্তান নাকি ভালো ছিল। আজ পাকিস্তানের রিজার্ভ সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তান আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাকিস্তানের চেয়ে সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশে আরো বলেন, ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন। বেপরোয়া গাড়ির বেপরোয়া ড্রাইভারে চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন জখম হয়ে গেছে!

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, ঢাকায় মেট্রোরেল হতো না, এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন তাহলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হতো না। একদিনে একশ রাস্তা হতো না। শেখ হাসিনা চুরি করেননি, চুরি থেকে বাংলাদেশকে, ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন।

গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রসাশক জন্ম নেয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে তার নামে হাওয়া ভবন তৈরি হতো। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতেন না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে, ভূমিহীনেরা ভূমি পাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, নির্বাচন ছাড়া সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই দলের প্রধানসহ অনেকেই দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। তারা বর্তমানে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। মায়া বলেন, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার সাংবিধানিক কোন বিকল্প পথ নেই। আসন্ন নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।

বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ যখন বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে, তখন বাংলাদেশকে পেছনে নেয়ার, উন্নয়ন থামিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের শান্তি ফেরাতে তাদের (বিএনপি) দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে।

ডা. সোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে বিএনপির দৌড়ঝাপ করে বা তাদের সঙ্গে নিয়ে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। বিএনপি কখনো জনগণের দল ছিল না। এরা সবসময় বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করে। তাই ক্ষমতার বাইরে থাকলে তারা বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়। এটা নতুন নয়, তাই আওয়ামী লীগ এ নিয়ে বিচলিত নয়।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে ঘৃণা করতেন দুর্নীতিবাজদের। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন জিহাদ করেছেন। যারা ঘুষ খায়, চাঁদাবাজি করে তারাই দূর্নীতিবাজ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সারাবাংলার মানুষ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তারপর জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে।

বিএনপি ষড়যন্ত্র কোনদিনই সফল হবে না: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর ভাষানটেক মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও রাজাকারের উত্থান এই বাংলার যুবসমাজ, তরুণ সমাজ ও এই প্রজন্ম রুখবেই রুখবে। আজকে বিএনপি যে ষড়যন্ত্র করছে- সেখানে তারা কোনদিনই সফল হবে না। দেশের জনগণ তাদের রুখে দেবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, সহ-সভাপতি কাদের খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা, দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পি প্রমুখ।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, যেভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে- তার সঙ্গে শেখ হাসিনার চিন্তা চেতনা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে বলে আজকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্লোগান সারা বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে থাকে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের শিখরে। বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে এটাই আমাদের শপথ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App