×

জাতীয়

কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৫ এএম

কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ

ছবি: সংগৃহীত

ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড কানেক্টিভিটি প্রকল্পে যুক্ত হতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এই বিষয়ে দিল্লি ও ব্যাংককের সায় আছে। এখন নেপিদোর ইতিবাচক সাড়ার অপেক্ষায় ঝুলে আছে বিষয়টি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসব তথ্য জানান। এফওসিতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ব্যাংককের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি সরন চারুয়েনসোয়ান। উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার ঢাকায় এসে পৌঁছান থাইল্যান্ডের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি সরন চারুয়েনসোয়ান।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি ছিল। আমরা আমাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছি। আমরা ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হতে চাই। আমরা ইতোমধ্যে ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি, থাইল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি আমরা যুক্ত হতে চাই তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কথা হলো, এটাতে মিয়ানমার কীভাবে রিয়্যাক্ট করবে।

বৈঠকে বিমান এবং মেরিটাইম কানেক্টিভিটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ত্রিদেশীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়া ছাড়াও বিমান যোগাযোগ এবং মেরিটাইম যোগাযোগের বিষয়টি ছিল। বর্তমানে ঢাকা-ব্যাংককে সপ্তাহে ৩৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে আরো বেশি চাহিদা থাকলে আরো বেশি ফ্লাইট চালু করা হবে। বিমান যোগাযোগ আরো বাড়াতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি। এটি সম্পন্ন করা গেলে দুদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আরো সম্ভবনা তৈরি হবে বলেও জানান মাসুদ বিন মোমেন।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেছি। থাইল্যান্ডের সঙ্গে কাজ করার মতো অনেক সম্ভাবনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। দেশটির সঙ্গে আমাদের বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার। এটা খুব সহজেই দ্বিগুণ করার সুযোগ রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এটাকে আমরা ২ বিলিয়নে নিতে চাই, এ জন্য সরকার কাজ করছে। পূর্বের দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরামর্শ দিয়েছেন বলেও জানান পররাষ্ট্রসচিব। সম্পর্কের মাধ্যমে আমরা আমাদের সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব।

আমাদের সমস্যা একই ধরনের, সক্ষমতাও একই ধরনের। সুতরাং আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি এবং একজন আরেকজনের কাছ থেকে শিখতে পারি। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক পাইপ লাইনে রয়েছে বলেও জানান মাসুদ বিন মোমেন। পররাষ্ট্রসচিব আরো জানান, থাইল্যান্ড খুব শিগগিরই বিমসটেক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, থাইল্যান্ড বিমসটেক সম্মেলন সফলভাবে সম্পন্ন করবে। বাংলাদেশ আমাদের ভালো বন্ধু উল্লেখ করে থাইল্যান্ডের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি বলেন, আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারি। সামনে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছে।

অনেক খাতেই আমাদের একসঙ্গে কাজ করার মতো সম্ভাবনা রয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা একে অপরকে সমর্থন দিতে পারি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করতে আগ্রহী। এখানে কীভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, ট্রেড বাড়ানো যায়; সেটি নিয়ে আলোচনা করছে আমাদের একটি বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। আমরা দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলো প্রতিনিয়ত করে যেতে চাই।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App