×

জাতীয়

রপ্তানির আড়ালে পাচার ৩৮০ কোটি টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম

রপ্তানির আড়ালে পাচার ৩৮০ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

রপ্তানির আড়ালে চার প্রতিষ্ঠানের জাল নথি তৈরি করে ১৭৮০টি চালানের বিপরীতে ৩৮০ কোটি টাকা পাচারের প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ফখরুল আলম এ তথ্য জানান।

ফখরুল আলম জানান, ঢাকার দক্ষিণখানের সাবিহা সাইকি ফ্যাশন নামের প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৭৮০টি চালানে ৯৯৭ টন মেনস ট্রাউজার, টি-শার্ট, বেবি সেট, ব্যাগ, পোলো শার্ট, জ্যাকেট, প্যান্ট ও হুডি রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৮ কোটি টাকা (১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৭ ডলার)। কিন্তু এ অর্থ দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়। সংস্থাটির মহাপরিচালক আরও বলেন, রাজধানীর রমনা থানার এশিয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ১৩৮২টি চালানের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৮৫ টন টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ২৮২ কোটি টাকা (২ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৬ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার ও যুক্তরাজ্যে এসব পণ্য রপ্তানি হয়। রাজধানীর দক্ষিণখান বাজারের ইমু ট্রেডিং কর্পোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২৭৩টি চালানের মাধ্যমে ২ হাজার ৫২৩ টন টি-শার্ট, ট্রাউজার ও টপস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ৬২ কোটি টাকা (৬৫ লাখ ৪ হাজার ৯৩২ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ায় এসব পণ্য রপ্তানি হয়। ঢাকার উত্তরা তিন নম্বর সেক্টরের ইলহাম নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৩৯টি চালানের মাধ্যমে ৬৬০ টন টি-শার্ট, ট্যাংক টপ ও লেডিস ড্রেস রপ্তানি করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা (১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮৫ ডলার)। কিন্তু এ অর্থও দেশে আসেনি বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফখরুল আলম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App