×

খেলা

রেকর্ড গড়ে পিএসজির মান বাঁচালেন এমবাপ্পে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৯ এএম

রেকর্ড গড়ে পিএসজির মান বাঁচালেন এমবাপ্পে

এমবাপ্পে

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়ে মাঠে খুব একটা ভালো সময় কাটাতে পারছে না এমএনএম ত্রয়ীর দল পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়ার তিনদিন পর গতকাল প্যারিসের ক্লাবটি লিগ ওয়ানে ব্রেস্টের বিপক্ষে মুখোমুখি হয়। হোঁচট খাওয়ার শঙ্কায় থাকলেও ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের শেষ সময়ের গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় ক্রিস্তফ গালিতিয়েরের শিষ্যরা। এই জয়ের দিনে রেকর্ড গড়লো পিএসজি এবং ক্লাবের ত্রিরত্নের অন্যতম একজন এমবাপ্পে।

গতকাল রাতের ম্যাচের শেষ গোলটি ছিল লিগ ওয়ানে পিএসজির ৩০০০তম গোল। সঙ্গে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে শেষ গোলটি করে লিগ ওয়ানে পিএসজির জার্সি গায়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে কাভানিকে ছোঁয়ে ফেলেছেন। আরেকদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রুনমাউথ লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় নিয়ে এবং লেইস্টার সিটির বিপক্ষে চেলসি ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির শিরোপা জয়ের পথে মূল বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। তিনি পিএসজির জার্সি গায়ে খেলা শুরু করেন ২০১৭ সালে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনি দলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে আসছেন। নামের পাশে গোল এবং গোলে সহায়তার সংখ্যাটা দিনদিন বাড়িয়েই চলছেন তিনি। এবার ব্রেস্টের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচের শেষ মুহূর্ত জয়সূচক গোলটি যদি তিনি করতে না পারতেন তাহলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ পরবর্তী ম্যাচটিতেও পিএসজির ব্যর্থতা কাটতো না।

শেষ মুহূর্তের এ গোল ছিল লিগ ওয়ানে পিএসজির হয়ে এমবাপ্পের ১৩৮তম গোল। এই গোলের ভাণ্ডার গড়তে তিনি ১৬৫ ম্যাচে খেলেছেন। এর আগে পিএসজির জার্সি গায়ে লিগ ওয়ানে ১৩৮টি গোলের রেকর্ড ছিল উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার কাভানির। তিনি ২০০ ম্যাচে মাঠে নেমে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। অন্যদিকে লিগ ওয়ানের ১২তম দল হিসেবে ৩০০০ গোলের নতুন কীর্তি গড়ল পিএসজি। এই গোলগুলো করতে পিএসজির লেগেছে ১৮৫৮টি ম্যাচ। লিগ ওয়ানের ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম দল হিসেবে এই রেকর্ড গড়ল পিএসজি। পিএসজির চেয়ে কম খেলে লিগ ওয়ানে ৩ হাজার গোল করেছে শুধু মার্শেই ও সাঁত এতিয়েন। এই দুই দলের লেগেছে যথাক্রমে ১৮০১ এবং ১৮১৬টি ম্যাচ।

লিগ ওয়ানের মাইলফলক স্পর্শ করা ম্যাচের প্রথম থেকেই ভালো সুযোগ পান মেসি-এমবাপ্পেরা। চতুর্থ মিনিটেই মেসির দুর্দারন্ত ফ্লিকে গোলপোস্টের খুব কাছাকাছি বল পেয়ে যান এমবাপ্পে। তাবে তার শট আশরাফ দারির গায়ে লেগে ফিরে আসলে সুযোগটি হাতছাড়া করেন তিনি। এর তিন মিনিট পরই আরেকটি সুযোগ আসে তাদের কাছে। পেনাল্টি স্পট থেকে ব্যর্থ শট করেন মেসি, এর পরপরই সলের শট নিলে ব্রেস্ট গোলরক্ষক মার্কো বিজোতের হাতে লেগে ক্রসবার থেকে বল ফিরে আসে।

১৩তম মিনিটে দুই জনকে কাটিয়ে শট নিতে যাচ্ছিলেন মেসি কিন্তু স্বাগতিক একজন শেষ মুহূর্তে বল কেড়ে নিলে ব্যর্থ হয় আরেকটি আক্রমণ। পরের মিনিটে মার্কো ভেরাত্তির শট ঠেকিয়ে দেন নোয়াহ ফাদিগা। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে ৩৭ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে ব্রেস্ট। এমবাপ্পে প্রথমে শট নিয়ে ব্যর্থ হলেও সফল হন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সলের। তার দ্রুতগতির শট ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে লক্ষ্যভেদ করে। প্রতি আক্রমণ থেকে ৪৩ মিনিটেই সমতায় ফেরে ব্রেস্ট। রোমা দেল কাস্তিয়োর কাছ থেকে বল পেয়ে সের্হিও রামোসকে এড়িয়ে জানলুইজি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করেন অনুখা।

প্রথমার্ধ সমতা নিয়ে শেষ করে বিরতির পর দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামে। তবে আক্রমণাত্মক খেলার পরও কোনো দলই কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পাচ্ছিল না। শেষ দিকে গোলের জন্য বেশি মরিয়া হয়ে উঠে ব্রেস্ট। তাদের একটি আক্রমণ থেকে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে বল দখল করেন মেসি। তার পাস থেকে বল যায় ফরাসি তারকার পায়ে। বল পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি এমবাপ্পে। গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল জড়ান তিনি। এই গোলের মধ্য দিয়ে দলের জয়ের সঙ্গে রেকর্ড গড়তে অবদান রাখেন এই তারকা ফুটবলার। ২৭ ম্যাচে ২১ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ ওয়ানের পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে শক্ত অবস্থানে আছে পিএসজি। এক ম্যাচ কম খেলা মার্সেই ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুই নম্বরে। আর পরাজিত ব্রেস্ট ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে ১৫ নম্বরে।

অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে প্রথম দিকেই সুযোগ কাজে লাগান ব্রুনমাউথের বিলিং। তিনি ২৮তম মিনিটে একটি দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর লিভারপুল চেষ্টা চালিয়েও গোল শোধ করতে পারেনি। ফলে ১-০ গোলের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহাম্মদ সালাহর দল। ইপিএলের আরেক ম্যাচে লেইস্টার সিটিকে ১১ মিনিটেই পিছিয়ে দেয় চেলসি। গোলটি করেন চিলওয়েল। এরপর লেইস্টার ৩৯ মিনিটে ডাকার গোলে সমতায় ফেরে। তবে প্রথমার্ধেই হাভার্টের পা থেকে গোল আসায় ফের পিছিয়ে পড়ে তরা। শেষ পর্যন্ত চেলসি আরেকটি গোল পায় ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে। জয় নিশ্চিত করা এই গোলটি করেন কোভাকিক। তিন গোল হজম করার পর চেষ্টা চালিয়েও ফিরে আসতে পারেনি লেইস্টার সিটি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App