×

মুক্তচিন্তা

দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে ভাষার কারণেই

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩, ১২:২২ এএম

কোথায় পাকিস্তান, আর কোথায় বিহারের মুসলমান? পাকিস্তান কেমন রাষ্ট্র হবে সেটা তো দূরের কথা, কোথায় হবে, কেমন হবে সে রাষ্ট্রের অবস্থান ও সীমারেখা সেটা তো কেউ জানত না। লাহোরে অনুষ্ঠিত ১৯৪০-এর কাউন্সিল অধিবেশনে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য যে স্বতন্ত্র আবাসভূমির কথা বলা হয়েছিল তাতে একটি নয়, একাধিক রাষ্ট্রের উল্লেখ ছিল, ধারণা করা হয়েছিল যে অন্তত দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, একটি পশ্চিমে অপরটি পূর্বে; পরে ১৯৪৬ সালে নতুন রাষ্ট্রের সম্ভাবনা যখন কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে তখন অনেকটা জোর করেই মূল প্রস্তাবটি সংশোধন করে অখণ্ড একটি রাষ্ট্রের দাবি জানানো হলো। সম্ভাব্য রাষ্ট্রের নাম যে পাকিস্তান হবে এমন কোনো উক্তি বা আভাস লাহোর প্রস্তাবে আদৌ ছিল না; এর বেশ কয়েক বছর আগে ১৯৩৩ সালে চৌধুরী রহমত আলী নামে লন্ডন প্রবাসী এক ভারতীয় ছাত্র উত্তর-পশ্চিম ভারতের মুসলিম-প্রধান প্রদেশগুলোর আদ্যাক্ষরগুলো সাজিয়ে ‘পাকিস্তান’ নামে একটি রাষ্ট্রের কল্পনা হাজির করেন। ছাত্রটির এই চিন্তাকে জিন্নাহ তখন ‘অবাস্তব স্বপ্ন’ (impossible dream) বলে নাকচ করে দিয়েছিলেন। জানা যায় ১৯৪০-এর ২৩ মার্চে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের তিন মাস আগে, ১৯ জানুয়ারিতেও জিন্নাহ ভারত বিভাগের কথা ভাবেননি, ওই তারিখে লন্ডনের টাইম অ্যান্ড টাইড পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে জিন্নাহ লিখেছেন, ‘A constitution must be evolved that recognizes that there are in India two nations, who both must share the governance of their common motherland… so that India may take its place amongst the great nations of the world.’ তবু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের স্বপ্ন মানুষকে দেখতে বলা হয়েছিল এবং ভারতজুড়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ পাকিস্তানকে তাদের স্বপ্নের দেশ বলে মনে করেছিল। প্রথম ধাক্কাটা এলো তখনি, যখন রক্তাক্ত সংঘর্ষের পরে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ঘোষণাটা পাওয়া গেল; কেননা যেসব জায়গায় মুসলমানরা সংখ্যালঘু তারা পাকিস্তান রাষ্ট্রের এলাকার মধ্যে তো পড়লই না, বরং নতুন রাষ্ট্রের সীমানা থেকে যোজন যোজন দূরে নিজেদের দেখতে পেল। অনেকেই ভাবল মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকবে, চেষ্টাও করল থাকার; অন্যরা ঘর-বাড়ি ফেলে যাত্রা শুরু করল তাদের স্বপ্নে-দেখা দেশের অভিমুখে। যারা রইল তাদেরও কেউ কেউ পরে যোগ দিয়েছে শরণার্থীদের দলে। ঘটনাটা ভারতের উর্দুভাষীদের ক্ষেত্রে ঘটেছে, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি মুসলমানদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি মুসলমানরা এলো পূর্ব পাকিস্তানে। অবাঙালিদের একাংশ গেল পশ্চিমে, অপরাংশ এলো পূর্বে। উর্দুভাষীরা স্বপ্ন নিয়ে এসেছে ঠিকই; কিন্তু ছেড়ে এসেছে মাতৃভূমি এবং আশ্রয় চেয়েছে এমন এক ভূমি ও সংস্কৃতিতে, যা তাদের কাছে ছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত, ক্ষেত্রবিশেষে বৈরীও বটে। বাঙালি শরণার্থীরা তবু মিশে যেতে পারল পূর্ববঙ্গের জীবনধারার সঙ্গে, কিন্তু অবাঙালিদের পক্ষে সেটা করা কষ্টকর হলো, বিশেষ করে ভাষার কারণে। ভারত বিভাগ কত মানুষের যে সর্বনাশ করেছে তার ইয়ত্তা নেই। পাকিস্তান গণপরিষদের পঞ্চম অধিবেশনে জিন্নাহ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকে mighty revolution বলে অভিহিত করেছিলেন। বলেছিলেন যে, ভারত অখণ্ড থাকাটা হতো এক মহাবিপর্যয়। কিন্তু সংখ্যালঘু সমস্যা নিয়ে তার মনে বিজয়ের ওই মুহূর্তেও অস্বস্তি ছিল। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, সংখ্যালঘুদের যে বিপদ ঘটেছে সেই ব্যাপারটা দুঃখজনক। কিন্তু কিছু তো করার ছিল না, বলেছেন তিনি। ভারত বিভাগ নিতান্তই অনিবার্য হয়ে পড়েছিল, তিনি ধারণা করেছেন। কিন্তু এ নিয়েও তার মনে যে সংশয় ছিল বোঝা যায় তার এই উক্তিটি থেকে, Maybe that view is correct, maybe it is not; that remains to be seen. ভবিষ্যৎই বলে দেবে, ভারত বিভাগের অনিবার্যতার ওই ধারণাটি সঠিক ছিল কি ছিল না। শোনা যায় যে, পরের বছর ১১ সেপ্টেম্বর যখন তিনি মৃত্যুবরণ করেন তার আগে, জীবনের শেষ মুহূর্তেই বলতে গেলে, তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের সাক্ষ্য মতে তিনি বলেছিলেন যে ভারত বিভাগের কাজটি ঠিক হয়নি। সে যাই হোক, ঘটনা ঘটে গেছে। এবং শরণার্থীরা পাকিস্তানের এলাকা ছেড়ে ভারতে এবং ভারতের এলাকা ছেড়ে পাকিস্তানে এসেছে। পশ্চিম পাকিস্তানে যারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন রাজনীতি সচেতন ও সক্রিয় বুদ্ধিজীবী ইকবাল আহমদ। তিনি বিহারের লোক, তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন কংগ্রেসের সমর্থক, কিন্তু যখন পাকিস্তান হলো তখন তার ভাইরা, পিতা আগেই মারা যাওয়ায় যারা তখন পরিবারের কর্তা সেই ভাইয়েরা ঠিক করলেন পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাবেন। তাদের মা রাজি হননি, বলেছিলেন তিনি তার দেশেই থাকবেন, অন্য কোথাও যাবেন না, পুত্রদের উদ্দেশ করে মন্তব্য করেছিলেন যে, তোমরা মুসলমান ইহুদিবাদী হতে যাচ্ছ। ভাইরা সবাই মিলে ট্রেনে করে রওনা হয়েছিলেন পাকিস্তান অভিমুখে। দিল্লিতে পৌঁছার পর ট্রেনের চলা শেষ; জানা গেল ট্রেন আর যাবে না। তখন হেঁটেই যাত্রা। এক-দুজন নয়, এক সঙ্গে পঁয়ত্রিশ হাজার শরণার্থী চলেছিলেন সেই মহাযাত্রায়। গন্তব্যে সবাই পৌঁছতে পারেননি, অনেকেই থেমে পড়েছেন, কেউ কেউ মারা গেছেন, সশস্ত্র বিপদের মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছেন বহুজন। শেষ পর্যন্ত পাঁচ হাজার মানুষ কোনো মতে সীমান্তের অপর পারে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে সবার জীবন স্বচ্ছন্দ হয়নি। ইকবালের বয়স তখন তেরো-চৌদ্দ, তার বড় ভাই সরকারি কর্মচারী হিসেবে পাকিস্তানে এসেছিলেন, তাই কিশোর ইকবালের পড়ালেখায় তেমন একটা বিঘœ ঘটেনি, কিন্তু তিনি স্মরণ করেছেন একজন বয়স্ক মানুষের কথা, পদযাত্রার সেই ভয়ংকর সময়ে যিনি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন নানা কথা বলে, তার নাম দেয়া হয়েছিল মুসা। ধর্মগ্রন্থের মুসার মতোই যেন তিনি মানুষগুলোকে নিয়ে চলেছিলেন প্রতিশ্রæত দেশের দিকে, মুক্তিস্বপ্নে সজীব রেখে। কয়েক বছর পরে এক সন্ধ্যায় লাহোরে ইকবাল একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়েছেন, দরজার কাছে রাস্তার ওপরে দেখেন এক অসহায় বৃদ্ধ বসে রয়েছেন, দেখে তিনি চমকে উঠেছেন, সেই মুসা, একদিন যিনি ছিলেন শরণার্থীদের অনুপ্রেরণাদাতা। ইকবাল মুসাকে ডাকলেন, একবার নয়, বারবার ডাকলেন, কিন্তু মানুষটি তাকে চিনতে পারলেন না, এমনকি সাড়াও দিলেন না। ইকবাল আহমদ এক স্মৃতিকথায় ব্যাপারটি স্মরণ করেছেন। এই মুসা অন্য মুসা, তিনি সফল হননি, তার সঙ্গীরা যে সবাই প্রতিশ্রæতির দেশে পৌঁছেছিল তাও নয়, যারা সম্পন্ন ঘরের লোক, তারা ইকবাল আহমদের মতো উচ্চশিক্ষা ও প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু অন্যরা কষ্টে পড়েছেন, কেউ কেউ এখনো সংকটে রয়েছেন। উর্দুভাষী শরণার্থীদের নাম দেয়া হয়েছিল মোহাজের। তাদের মধ্যে শ্রেণি-বিভাজন ছিল যে কথা আগেই উল্লেখ করেছি। মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ, লিয়াকত আলি খান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, ইসমাইল চুন্দ্রীগড়, চৌধুরী খালিকুজ্জামানসহ পাকিস্তানের শাসনক্ষমতায় যারা প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন তাদের অনেকেই ছিলেন মোহাজের; কিন্তু সেই মোহাজের আর পূর্ববঙ্গে রেলের বগিতে চটের পর্দা টানিয়ে বসবাসকারী, কিংবা পরে মোহাম্মদপুরের জেনেভা শিবিরে আশ্রয়প্রার্থী মোহাজের এক ছিল না, আকাশ-পাতাল ব্যবধান। পশ্চিম পাকিস্তানে যারা গেছে তাদের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে যারা দুর্বল তারাও ভয়ংকর অসুবিধায় পড়েছে, একজনের দৃষ্টান্ত তো একটু আগেই পেলাম। কিন্তু তাদের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানে আসা মোহাজেরদের একটি মৌলিক পার্থক্য ছিল, সেটা হলো ভাষার। উর্দু অবশ্য পশ্চিম পাকিস্তানের কোনো অঞ্চলেরই ভাষা নয়; কিন্তু তবু তথাকথিত হিন্দুস্থানের সরকারি ভাষা যেমন হিন্দি, তেমনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু, এটা পাকিস্তানের উর্দুভাষীরা স্বতঃসিদ্ধ বলেই ধরে নিয়েছিল এবং অন্যরাও কেউ কেউ সেটা মেনে নিয়েছিল। পূর্ববঙ্গে আশ্রয়গ্রহণকারী শরণার্থীদের জন্য ভাষাগত দূরত্বটা দুর্লঙ্ঘ্য হয়েই রইল। ভাষার দূরত্বটা অবশ্য সামান্য নয়। দ্বিজাতিতত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে প্রধানত ভাষার কারণেই। ভারতের হিন্দুরা সবাই এক জাতি, মুসলমানরাও তেমনি এক জাতি, এই যে বিভাজন এর ভিত্তিটা হচ্ছে ধর্ম। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তো দেখা গেছে সব হিন্দু এক নয়, তারা ভাষার দ্বারা বিভক্ত। ভাষাগত বিভক্তিই হচ্ছে চূড়ান্ত উপাদান, যার কারণে ভারতে এখন আঞ্চলিক বিরোধ ও সংঘর্ষ দেখা দিয়েছে। বিরোধের পেছনে অর্থনৈতিক বৈষম্য অবশ্যই কার্যকর রয়েছে, যেমন বৈষম্য ছিল অখণ্ড পাকিস্তানের কালে পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের ভেতর, যে বৈষম্যের দরুন অনিবার্য ছিল ওই রাষ্ট্রের ভেঙে যাওয়াটা। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান যে নিজেদের আলাদা করে চিনেছিল সেটা ভাষার ভিত্তিতেই। অবিভক্ত ভারতে যখন প্রবল হিন্দু-মুসলিম বিরোধ চলছিল তখন ভাষাগত পরিচয়ের প্রশ্নটি ওপরে উঠতে পারেনি, সাম্প্রদায়িক প্রশ্নের নিচে তা চাপা পড়ে গিয়েছিল; কিন্তু ভারত বিভাগের সঙ্গে সঙ্গেই তা আর চাপা পড়ে থাকতে রাজি হয়নি। গণপরিষদের সেই গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে জিন্নাহ যা বলেছিলেন, সেটা আমাদের অনেকেরই জানা, তবু তা আবার স্মরণ করা যাক। জিন্নাহ ঘোষণা করেছিলেন যে পাকিস্তানে আর দ্বিজাতিতত্ত্ব থাকবে না, সবাই হবে পাকিস্তানি। তার উক্তিতে ইসলামী রাষ্ট্রের কথা নেই, মুসলমানদের জন্য একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে এমন বক্তব্য নেই। বলা হচ্ছে, নতুন রাষ্ট্রে সব নাগরিক সমান অধিকার ও সুযোগ পাবে, অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক। আসলে তিনি একটি নতুন জাতীয়তাবাদের কথাই বলেছিলেন, ধর্মনিরপেক্ষ পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের। এই রাষ্ট্রে ধর্ম, বর্ণ ও বিশ্বাসের ব্যাপারে কোনো বৈষম্য থাকবে না, জিন্নাহ বলছেন; কিন্তু লক্ষ করার বিষয় এটা যে, ভাষার কথাটা তিনি মোটেই আনেননি। তার অর্থ এই নয় যে, ভাষাকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন না, অর্থ সম্ভবত এটাই যে, তিনি ধরেই নিয়েছেন যে নতুন রাষ্ট্র এবং তার জাতীয়তাবাদ উভয়েরই ভাষা হবে উর্দু, যদিও এটা তার পক্ষে নিশ্চয়ই না জানার কথা ছিল না যে ওই রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে তখন শতকরা ৫৬ জন ছিল বাঙালি। ভাষার প্রশ্নে তিনি অনমনীয়; কেবল সভায় উপস্থিত ঢাকাবাসীকে নয়, তাদের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গের সব মানুষকেই জানিয়ে দিচ্ছেন যে, কোনো রকমের দ্বিমত সহ্য করা হবে না, উর্দুর বিরুদ্ধে যারা বলবে তাদের নির্ভেজাল রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে গণ্য করা হবে। ধর্মের ভিত্তিতে এক করা গেল না, তাই ভাষার ভিত্তিতেই পাকিস্তানিদের ঐক্যবদ্ধ করবেন বলে আশা করেছিলেন। তার সে আশা পূরণ হয়নি, বরং ঘটনার চরম বক্রাঘাত এখানেই যে উর্দুভাষাভিত্তিক পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ গ্রহণ করে তিনি বাংলা ভাষাভিত্তিক পাল্টা বাঙালি জাতীয়তাবাদ গঠনে পূর্ববঙ্গবাসীকে উৎসাহিত করেছেন। ভাষার প্রশ্নে রাষ্ট্রদ্রোহিতার ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতাকেই তিনি অনুপ্রাণিত করলেন। এবং পরে সামরিক অস্ত্রের ভাষাতে কথা বলেও বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থানকে দমন করা যায়নি, বরং তাকে আরো আপসহীন করে তোলা হয়েছে। পরিণতিতে একাত্তরের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ঘটেছে। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App