হজের খরচ কমানোর সুযোগ নেই
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৩:১০ পিএম
ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক। ছবি: সংগৃহীত
এ বছর হজ যাত্রায় খরচ পড়বে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। তবে এ খরচ হজ যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই হজের খরচ ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা থেকে কমিয়ে চার লাখ টাকার মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশের প্রতিক্রিয়ায় ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান জানিয়েছেন, চলতি বছর হজের খরচ কমানো কিংবা প্যাকেজ পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী- এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এবার হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কোটা পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। দফায় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হলেও হজযাত্রীদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
এরমধ্যে গত ৬ মার্চ হজের খরচ চার লাখ টাকায় নামিয়ে আনতে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও আল কোরআন স্ট্যাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের কো-অর্ডিনেটর অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ্-জামান। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের হাতে এখনও আসেনি। আসলে এটা নিয়ে আমাদের যা করণীয় আমরা করবো।’ হজের খরচ কমানো বা প্যাকেজ পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পুনর্বিবেচনার কোনো সুযোগ নেই। সুযোগ থাকলে আমরাই তো চাপ দিয়ে করাতাম (খরচ কমানো)।’