মাগুরার শালিখা উপজেলার বুনাগাতী বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০টি দোকান পুড়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (১১ মার্চ) রাত ২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।

অপরদিকে একই রাতে মাগুরা সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের দুটি গরুসহ ৬টি বসত ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।

বুনাগাতি বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, রাত ২টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নি কান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে মুদি দোকান ও গুদামসহ ১০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছ। অগ্নিকাণ্ডে চন্দন কুন্ডুর মুদি দোকান, বরুন কুন্ডুর মুদি দোকান ও মুদি মালের গুদাম, দিবাশিষের মুদি দোকান, শাহ আলম ডেন্টাল কেয়ার, উজ্জ্বল ফার্মেসি, প্রশিষ কুন্ডের চাউলের আড়ৎ, গৌতম নাথের কাপড়ের দোকান, উজ্জ্বল শিকদারের ধান পাটের গুদাম এবং মনু মিয়ার মুদি দোকান পুড়ে গেছে। এতে সব মিলে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

[caption id="attachment_413658" align="alignnone" width="1600"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

তারা আরো জানান, রাত ২টার দিকে প্রথমে বাজারের পাহারাদাররা অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি বুঝতে পেরে মাগুরা ও যশোরের বাঘার পাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দেয়। কিন্তু ফায়ার সার্ভিস উপস্থিত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাহারাদার কর্মীরা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সাহায্য চায়। কিন্তু আগুন লাগার প্রায় এক ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এ ব্যাপারে শালিখা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বাজারের পাহারাদার কর্মী মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, আমার হঠাৎ আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে যোগাযোগ করতে না পেরে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিই। এর পর ৩টা ১৪ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। ততক্ষণে পুড়ে সব শেষ।

বুনাগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বখতিয়ার লস্কর জানান, রাত ২টার দিকে বাজারে নিরাপত্তা কর্মীরা আমাকে ফোন দিলে আমি সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিই। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৩ টার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে ১০টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।

অপরদিকে, একই রাতে মাগুরা সদর উপজেলার আমুড়িয়া গ্রামের আঞ্জুমান আরা, জিয়ারুল ও রবিউল নামের ৩ কৃষককের ৬টি ঘর পুড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ সময় একটি বিদেশি গরু ও একটা ছাগল আগুনে পুড়ে মারা যায়।

মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন মাস্টার সোহাগুজ্জামান জানান, শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ১ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এবং পরবর্তীতে পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অনুমান করা যাচ্ছে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হবে।