×

জাতীয়

ভবন মালিকসহ তিনজন কারাগারে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৯ পিএম

রাজধানীর গুলিস্তানের বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে সিদ্দিক বাজারের কুইন টাওয়ারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২২ জনের প্রাণহানির ঘটনায় দুই ভবন মালিকসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আসামিরা হলেন- ভবনের দুই মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান। তারা আপন দুই সহোদর। এছাড়া আরেক আসামি হলেন- ভবনের বেজমেন্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু।

রবিবার (১২ মার্চ) দুইদিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরআগে গত ৯ মার্চ আসামিদের ৫৪ ধারায় দুইদিনের রিমান্ড মাঞ্জুর করেন আদালত।

এদিকে, এদিন বংশাল থানায় করা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলার মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেনের আদালত আগামী মঙ্গলবার আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে, বিস্ফোরণের ঘটনায় গত ৮ মার্চ রাতে পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে। তার আগে ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেল চারটা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারের নর্থসাউথ রোডে কুইন টাওয়ার নামে সাততলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিস্ফোরণে ভবনটির তিনতলা পর্যন্ত পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে স্যানিটারি ও গৃহস্থালি সামগ্রীর বেশ কয়েকটি দোকান ছিল। বিস্ফোরণে ভবনটির দেয়াল ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ভেতরের জিনিসপত্র ছিটকে বাইরে পড়ে যায়। এছাড়া ভবনের উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা সাভার পরিবহনের একটি বাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাসটির হেলপার ঘটনাস্থলে মারা যায়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় পাশের কয়েকটি ভবনও। বিস্ফোরণের পরই উদ্ধারকাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র‌্যাব উদ্ধার কাজে সহায়তায় করে।

এ ঘটনায় নিহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার টাকা, গুরুতর আহতদের ২৫ হাজার, সামান্য আহতদের ১৫ হাজার আর্থিক সহায়তা দেয় ঢাকা জেলা প্রশাসন। এদিকে ঘটনার বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ (সিটিটিসি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App