নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম
ছবি: ভোরের কাগজ
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক হবে নতুন প্রজন্ম। তাদেরকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যাবে না। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রভাব দেশের প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে প্রসারিত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফলতার ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রা শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখায় না, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দান করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়; বাস্তব। এখন নতুন প্রজন্মকে স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
শনিবার (১১ মার্চ) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আজকের নতুন প্রজন্মই আগামীদিনের স্মার্ট বাংলাদেশকে নেতৃত্বে দেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নতুন প্রজন্মকে নিয়ে ভাবতেন। তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে নতুন প্রজন্ম। আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্বমানের শিক্ষা পেয়ে সুনাগরিক হতে পারে। যেকোনো জায়গার শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুধু তাল মিলিয়েই চলা নয়, উন্নত প্রযুক্তিটাও যেন সে আয়ত্ত করতে পারে। সেই ভাবেই তাদের গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে চলছেন। তিনি প্রতিটি উপজেলা শহরে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারিকরণ করছে। তিনি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছেন। পরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নতুন ভবন করে দিচ্ছেন। তিনি দেশের কৃষি শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এজন্য জেলায় জেলা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা সৌভাগ্যবান, কারণ তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মতো একজন শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পায়। তিনি দেশে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। তিনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাশেদউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন আহমেদ, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির বেপারী, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমা মোস্তফা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ মো. ইকবাল মুনসুর।
এ সময় নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।