×

জাতীয়

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৩, ১২:৩৩ পিএম

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে মন্তব্য করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য উনাদের এত দরদি হওয়ার দরকার নেই, আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

শুক্রবার (১০ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেছেন, নিঃস্বার্থ মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা করবেন, নাকি দেশে চিকিৎসা করবেন, ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন, নাকি ফকিরের কাছে চিকিৎসা নেবেন সেটা তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তারা যে ধরনের কথা বলছে, তাতে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এম-ট্যাব) এর ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ গণতন্ত্র অনুপস্থিত। যে গণতন্ত্রের চিন্তা, স্বপ্ন এবং চেতনা নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা এখনো স্বাধীনতা পাইনি। কর্তৃত্ববাদী এবং ক্ষমতা লোভীদের কারণে কখনোই সুষ্ঠু গণতন্ত্র আমরা পাই না। দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত এমনিতেই ফ্যাসিবাদী সরকার যারা ভোটে তোয়াক্কা করে না, জনগণের অধিকারে তোয়াক্কা করে না, যারা ক্ষমতায় এসে লুটপাটের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি শূন্যের কোঠায় নিয়ে গেছে। একদিকে লুটপাট, অন্যদিকে মুদ্রা পাচার। এ কারণে আজকে রাষ্ট্রের কোষাগার অনেকটাই শূন্য।

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটি ভোটারবিহীন সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে বর্তমানে যারা ভোটে বিশ্বাস করে না, জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না, তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব নয়। সে কারণে তাদের ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করা এবং সংসদ বিলুপ্ত করা এরপর নিরপেক্ষ সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তারা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে।

গয়েশ্বর বলেন, সরকারের যে চরিত্র তারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থাকতেও চায় না, আসতেও চায় না। তাই তারা কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী এবং লুটপাটের জন্য ক্ষমতায় আসা এত তীব্র; সেখানে জনগণের নীতি কথা তাদের কানে যায় না। সে কারণে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং হবে।

বিএনপি'র এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র উত্তরণ ঘটাবো, এটাই আমাদের বিশ্বাস।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার, সভাপতি একেএম মুসা লিটন, মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App