জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশকে ধর্মনিরপেক্ষ করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। ভারতও আমাদের মতোই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। যার যার ধর্ম, সে সে পালন করবে, বাংলাদেশে এই স্বাধীনতা সর্বত্র বিরাজমান। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের কোনো বিকল্প নেই। দুই দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার জন্য সংগঠনটি কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের সিনহা লাউঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রীতি সম্মিলন ও সম্মাননা প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক এটা স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে সুদৃঢ় হয়েছে। স্বাধীনতারপূর্ব সময় থেকেই আঞ্চলিক ও ভৌগলিক কারণে ভারতের সাথে আমরা সেতুবন্ধন গড়ে তুলেছি। দুই রাষ্ট্রের বন্ধুত্বের পাশাপাশি অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গেও কুটনৈতিক সম্পর্ক, সেটা সংস্কৃতি, ভাষা, অর্থনীতি ও রাজনীতির ভিত্তিতে সম্পর্ক তৈরিতে এই পরিষদের দায়িত্ব-কর্তব্য অপরিহার্য ও তাৎপর্যপূর্ণ। সংগঠনটিকে আমরা আনুষ্ঠানিকতা নয় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই।

অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. শামসুল হক টুকু বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ও ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের সহ-সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন টানা দ্বিতীয়বার জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেয়া হয়।

ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের কার্য উপদেষ্টা পরিষদের সদস‌্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. মমতাজ হোসেন ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং বাংলা একাডেমির সচিব এএইচএম লোকমানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।