×

সারাদেশ

আবিদ হত্যার রহস্য উদঘাটনের অপেক্ষায় পরিবার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৯ এএম

আবিদ হত্যার রহস্য উদঘাটনের অপেক্ষায় পরিবার

ইয়াছিন আরাফাত আবিদ। ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে ইয়াছিন আরাফাত আবিদ (২১) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো খোলেনি রহস্যের জট। পরিবারের দাবি, আবিদকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আবিদ জেলা শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ার ট্যাংকেরপাড় এলাকার হেলাল মিয়ার ছেলে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তার মরদেহটি আশুগঞ্জের সোনারামপুরের লাভিডা হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় নিহত আবিদের বাবা হেলাল মিয়া বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের মোবারক খন্দকারের মেয়ে নাহিদা আক্তার তৃষা (১৮) সহ ৭ জনকে আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এরমধ্যে তৃষাসহ ৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ইয়াছিন আরাফাত আদিবের সঙ্গে নাহিমা আক্তার তৃষ্ণার কথিত প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আদিবকে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক এর মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তৃষা অন্যান্য আসামিদের নিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে আটক করে। তারা ২০ লক্ষ টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। সে তাদের প্রস্তাবে সম্মত না হলে পরদিন বুধবার দুপুরে আদিবকে হত্যা করে ধামাচাপা দিতে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসে। আত্মহত্যার নাটক সাজায়। বিষয়টিতে সন্দেহের সৃষ্টি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাহিদা আক্তার তৃষাসহ ৩জনকে আটক করে আশুগঞ্জ থানাকে অবহিত করে।

আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাশের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে ইয়াছিন আরাফাত আবিদ নামের এক যুবকের মরদেহ মেলে। হাসপাতালে লাশের সাথে তৃষা নামের এক তরুণী ছিল। সে প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশকে জানায়, আবিদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পরিবারের অজান্তে বিয়ে করে পরিচিত এক বাসায় আশ্রয়ে ছিল। পরদিন সকালের পর তৃষা টয়লেট থেকে এসে দেখে আবিদ আত্মহত্যা করেছে। হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় তৃষাসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে আবিদের চাচা জাকির হোসেন বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আবিদের মরদেহের পাশে একটি মেয়ে বসা। মেয়েটি জানায় সে আবিদের স্ত্রী এবং মৃত অবস্থায় আবিদের লাশ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। সে আরও জানায়, আবিদ ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটির কথা অনুযায়ী আমরা যে বাসায় তারা ছিল সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ফাঁসিতে ঝুলানোর মতো ঘরে কিছুই নেই, শুধু দুইটি জানালা ছিল। আমরা ধারণা করছি আবিদকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। মেয়েটি নিজেকে আবিদের স্ত্রী দাবি করলেও এখনো কোন কাবিননামা দেখাতে পারেনি। পুলিশ আমাদের জমা দেয়া এজহার পরিবর্তন করেছে। আসামির বয়স বদল করেছে। আমরা অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই৷

এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান বলেন, মামলায় জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী সব লিখা হয়েছে। আমরা ঘটনার রহস্য উদঘাটিত করতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানাব। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আমরা রয়েছি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App