ডেপুটি স্পিকার
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, কোন ব্যাক্তিকে যেন কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে কিডনী প্রতিস্থাপন ও ডায়ালাইসিস পর্যায়ে যেতে না হয়। এ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই সবাই যেন এই রোগের প্রতিরোধ করতে পারে সেবিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যম, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও বিশেষজ্ঞদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। কিডনী রোগ প্রতিরোধ করে আমাদের সুস্থ্য ও স্মার্ট জাতি হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরস্থ কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কনভেনশন হলে বিশ্ব কিডনী দিবস উপলক্ষ্যে ‘সুস্থ্য কিডনী সবার জন্য, অপ্রত্যাশিত দুর্যোগের প্রস্তুতি, প্রয়োজন ঝুকিপূর্ণদের সহায়তা’ প্রতিপাদ্যে কিডনী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘কিডনী রোগের চিকিৎসা সবার জন্য সর্বত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মো. শামসুল হক টুকু বলেন, কিডনী রোগ কী কী কারণে হতে পারে আমরা অধিকাংশ মানুষই তা জানি না, জনসচেতনতা থাকলে অনেকাংশেই তা এড়ানো সম্ভব। শুধু কিডনী রোগ নয় আমাদের সব রোগের ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত দুর্যোগ এড়ানোর পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে। নানা ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের অসংক্রামক রোগ হতে পারে, সেগুলোরও পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হবে। আর দুর্ভাগ্যক্রমে দুর্যোগে পড়ে গেলে কিভাবে তা সামাল দেয়া যায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের দারস্থ হতে হবে।
তিনি বলেন, কোভিড ও যুদ্ধের প্রভাবে বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, মূল্যস্থীতি হচ্ছে। এ সময় আমাদের সবার উচিৎ মিতব্যয়ী হওয়া, অথচ এ সময়েও ধুমপায়ীরা ধুমপান করছে, মাদকাসক্ত রয়েছে। এর ফলে একদিকে সে তার নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি যেমন করছে অন্যদিকে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের পরিবেশকে দূষিত করছে। ফলে রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্বাস্থ্য খাতে খরচ করতে হচ্ছে।
কিডনী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, অধ্যাপক ডা. মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন রুবেল, অধ্যাপক ডা. শামিম আহমেদ এবং টিনী ফেরদৌস রশিদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।