×

শিক্ষা

প্রশাসনের ইন্ধনে ফের উত্তপ্ত কুবি, আহত ৩

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম

প্রশাসনের ইন্ধনে ফের উত্তপ্ত কুবি, আহত ৩

ছবি: ভোরের কাগজ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের তিন নেতাকে প্রকাশ্যে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে রেজা-ই-এলাহী সমর্থিত স্থানীয় যুবদল নেতা রনি হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি বিপ্লব চন্দ্র দাস, সাবেক শিক্ষার্থী ইকবালসহ ১২-১৫ জন কর্মী।

বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আল আমিনের দোকানে সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান হৃদয়, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহান।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ১০টায় রেজা-ই এলাহী সমর্থিত নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উঠতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে এক সহকারী প্রক্টরের সাথে বাগবিতণ্ডা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর জেরে বুধবার ৭ মার্চ এনায়েত উল্লাহ ও সালাম চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।

এ বিষয়ে হত্যা মামলার আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাসের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কল কেটে দেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন, সালমান, সাদ্দাম, সায়েমসহ কয়েকজন আল আমিনের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। এমনই মুহূর্তে রেজা এলাহি গ্রুপের ১২-১৫ জন নেতাকর্মী অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত হলে সাধারণ সম্পাদক এনায়েত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান, বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইদুল ইসলাম রোহানের হাত ভেঙে গেলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগী সালমান চৌধুরী জানান, আমাকে বিপ্লব চন্দ্র দাস ডেকে নিয়ে যায় এবং প্রশাসন বহিষ্কার করলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছি জানতে চেয়ে আমাকে এবং হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে মারধর শুরু করেন।

এদিকে, বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের ইন্ধন হিসেবে মন্তব্য করে কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাবেক সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, খুনি বিপ্লব ও ছাত্রদলের লোকজন কিভাবে একজন হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে মারধর করে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনে তারা আজ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আধা ঘন্টার মধ্যে যদি এর সমাধান না আসে তাহলে আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।

এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক এস এম আতিকুউল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি। বহিরাগতরা যেহেতু আক্রমণ করেছে তাই আমরা তাদেরকে যতদ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করব।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, এসব বিষয়ে আমার কোন ইন্ধন নেই। যারা এমনটি বলছে তারা এটিকে প্রমাণ করতে হবে।

প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা এটা তাদের বিষয়।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App