×

সারাদেশ

নাগরপুরে বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর, নারী আহত

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৬ পিএম

নাগরপুরে বসত বাড়িতে হামলা ভাংচুর, নারী আহত

ছবি: ভোরের কাগজ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বসতবাড়ীতে হামলাও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে রেজিয়া বেগম (৫০) নামের ১ মহিলা আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের কাওনহলা গ্রামেএ ঘটনাটি ঘটে।

আহত নারী ওই গ্রামের মো. সোনামিয়ার স্ত্রী। বর্তমানে সে নাগরপুর সদর হাসপাতালে চিৎকিসাধীন রয়েছে।

এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাপ দাদার পৈতৃক ভিটে বাড়িতে দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করে আসছে সোনা মিয়া। বসতবাড়ির জায়গা চাচাতো ভাইদের সাথে সমহারে ভাগ বাটারা করে দেন স্থানীয় মাতাব্বর ও ইউপি চেয়ারম্যান। সেই সাথে ইউপি চেয়ারম্যান গত বছরের ২৮ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে ছয় পরিবারের মধ্যে যার যার প্রাপ্ত অংশ লিখিত করে সরেজমিনে মেপে সীমানা প্রাচীর নিধারণ করে দেন।

সোনা মিয়া এলাকাবাসী ও পরিষদের রায় মেনে নিয়ে তার অংশ ইটের দেয়াল নির্মাণ করে। সোনা মিয়ার চাচাতো ভাই ভূমিদস্যু বারেক গ্রাম্য সালিস ও পরিষদের রায় অমান্য করে একদল দুর্বৃত্তদের সাথে নিয়ে৭ মার্চ সকালে জোরপূর্বক দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে। সোনা মিয়ার স্ত্রী বাধা দিলে বারেক ও তার সাঙ্গীরা রেজিয়া বেগমকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করে।

এসময় সোনা মিয়ার হাই স্কুলে পড়–য়া মেয়ে মিম আক্তার ও প্রতিবন্ধী ছেলে ঘরে খিল মেরে চিৎকার করতে থাকে। তাদের আত্মচিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং আহত রেজিয়াকে নাগরপুর সদর হাসপাতলে নিয়ে যায়।

সোনা মিয়া বলেন, আমি আমার পৈতৃক সম্পদ যা পাব তার চেয়ে কম নিয়েছি। চাচাতো ভাই বারেক ও অন্য ভাইদের নিয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে। ৭ মার্চ আমি বাড়ি না থাকায় আমার স্ত্রীকে একা পেয়ে বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে এবং তাকে মারধর করে। নিজের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আদালতে ৭ ও ১৪৪ ধারায় মামলা করি।

তিনি আরো বলেন আমার চকের জমিও জোর করে নিয়েছে। বারেক একজন খারাপ লোক ও আমাদের উপর হামলা করবে।

বারেক মিয়া বলেন, সোনা মিয়া আমাদের জমি কম দিয়ে সে বেশি নিয়েছে। তাই আমারা দেয়াল ভেঙ্গে ফেলছি। সে এলাকার লোকজনকে ও চেয়ারম্যানকে টাকা দিয়ে জোর করে দেয়াল তুলছে।

ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন বলেন, প্রায় ১ বছর আগে সোনা মিয়া ও বারেক মিলে পরিষদে দরখাস্ত দেয়। আমি পরিষদ থেকে আমীন পাঠিয়ে দেই। সে স্থানীয় মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে যার যার অংশে পিলার পুতে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে আসে। কারো বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলা অন্যায় ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App