বাঙলার গানে উত্তাল আর্মি স্টেডিয়াম

আগের সংবাদ

নারী দিবসে স্বপ্নদলের ‘হেলেন কেলার’ ও সম্মাননা

পরের সংবাদ

সোমেন চন্দ হত্যা দিবস পালন

‘শতবর্ষে সোমেন’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২৩ , ১০:১০ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ৮, ২০২৩ , ১০:১০ অপরাহ্ণ

প্রগতিশীল কথাসাহিত্যিক, বিপ্লবী ও প্রগতি লেখক সংঘের অন্যতম উদ্যোক্তা সোমেন চন্দ’র হত্যাদিবস উপলক্ষে ‘শতবর্ষে সোমেন’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বুধবার বিকালে রাজধানী কাঁটাবনে কবিতা ক্যাফেতে সোমেন চন্দ চর্চাকেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সোমেন চন্দ চর্চাকেন্দ্রের প্রয়াত নয়জন গুণী সংগঠকের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারা হলেন- কবীর চৌধুরী, সরদার ফজলুল করিম, কামাল লোহানী, শুভ রহমান, আহমেদ মনসুর, দিল মনোয়ারা মনু, মানিক চন্দ, আজিজ আহমেদ খোকন ও মান্নান হীরা। এরপর ‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে’ গানটি সমবেতভাবে পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। এছাড়া, সোমেন চন্দকে নিয়ে তপন বাগচীর লেখা ‘তুমি সোমেন চন্দ’ গানটি পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পী মায়েশা সুলতানা ঊর্বি। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য শিখা সেন গুপ্তা।

এরপর উপস্থিত বিশিষ্টজনরা ‘শতবর্ষে সোমেন’ শীর্ষক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। বইটির সম্পাদনা পরিষদে আছেন কামাল লোহানী, হারুন উর রশীদ, বাবুল বিশ্বাস ও অমিত রঞ্জন দে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামের সব শহীদদের প্রতি উৎসর্গ করা বইটির প্রচ্ছদ করেছেন অশোক কর্মকার। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর প্রবীণ সাংবাদিক আবেদ খানের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে’র সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সোমেন চন্দ চর্চাকেন্দ্রের সহ-সভাপতি হারুন উর রশীদ। এছাড়া, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সংস্কৃতিজন মফিদুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কন্ট্রোল কমিটির সদস্য মনজুরুল আহসান খান, অনুবাদক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। সোমেন চন্দের জীবনের নানা দিক নিয়েও আলোচনা করেন বিশিষ্টজনরা।

বক্তারা বলেন, সোমন চন্দ ছিলেন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং মার্কসবাদী সাহিত্যিক। নরসিংদীতে জন্ম নেয়া সোমেন চন্দ ১৯৩৬ সালে পগোজ স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেও দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেন নি। ‘প্রগতি লেখক সংঘ’-এ যোগ দেয়া ছাড়াও তিনি মার্কসবাদী রাজনীতি ও সাহিত্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন তিনি। বাংলা সাহিত্যে প্রথম গণসাহিত্যের ওপর কাজ করেন সোমেন চন্দ। ১৯৪১ সালে তিনি প্রগতি লেখক সংঘের সম্পাদক নির্বাচিত হন। এই প্রগতিশীল কথাসাহিত্যিককে ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ রাজধানীর লক্ষ্মীবাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে আততায়ীরা।

ডি- এইচএ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়