×

শিক্ষা

ইভটিজিংয়ের শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৫:১২ পিএম

ইভটিজিংয়ের শিকার নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী

ছবি: ভোরের কাগজ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(নোবিপ্রবি) অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন সোনাপুর-বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। ইভটিজিং, হয়রানিসহ নানা অপরাধের অভয়ারণ্য এখন এই সড়ক। ফলে এই সড়ক দিয়ে সন্ধ্যার পর যাতায়াত করতে অনিরাপদ বোধ করছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৪ মার্চ) রাতে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নেমে এই সড়ক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে অটোরিকশায় ওঠেন আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী। এরপর সেই অটোরিকশার পিছু নেয় স্থানীয় বখাটেরা।

ওই শিক্ষার্থী জানান, পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ের দিকে গেলে রিকশাচালক রিকশা থামিয়ে প্রতিবাদ করতে চাইলে রিকশা চালককেও হুমকি দেয়া হয়। এরপর থেকে অনিরাপদ বোধ করছেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করার দাবি তার।

শুধু এ ঘটনা নয়। এই সড়ককে ঘিরে এর আগেও সংঘটিত হয়েছে নানা অপরাধ। বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, সোনাপুর টু ক্যাম্পাস সড়কে যাতায়াতে প্রতিনয়ত সমস্যা হয়। ভাড়া নিয়ে অনেক সমস্যা হয়, রিকশাওয়ালা মামারা অনেক বেশি ভাড়া চায়। এরপর রিকশায় ওঠলে চালকরাও নানা বাজে কথা বলে। বিশেষ করে সন্ধ্যা ৭টার পর একা চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আফিফা নার্গিস বলেন, সোনাপুর টু ক্যাম্পাস সড়কে যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি হয়রানির স্বীকার নোবিপ্রবির মেয়ে শিক্ষার্থীরা। রাতের বেলায় একাকী চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য। যেখানে স্থানীয় মানুষজন ১০ বা ১৫ টাকা অটো ভাড়া দেয়, সেখানে শিক্ষার্থীদের থেকে ৩০ থেকে ৪০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়। দিনের বেলায় রিকশা কিংবা সিএনজি চালকদের বাজে মন্তব্য উপেক্ষা করে চলাচল করলেও রাতের বেলা সম্ভব হয় না। অনেকেই টিউশন শেষে বাস ধরতে পারে না। ফলে হাজার ভয় নিয়ে হলেও ঘুরেফিরে সেই সিএনজি কিংবা অটো দিয়েই আসতে হয়। যার ফলে বুলিং কিংবা হ্যারেজমেন্টের শিকার হওয়া সত্ত্বেও চুপ করে সয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

আরেক শিক্ষার্থী জানান, মেয়ে শিক্ষার্থীদের কোন নিরাপত্তা নেই এই সড়কে। সন্ধ্যার পর সড়কে স্থানীয় বখাটেদের দৌরাত্ম্য বাড়ে। ইভটিজিংয়ের শিকার হতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে নোয়াখালীতে নানা অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। কিশোর গ্যাং বেশি এখানে। লাইটিং ব্যবস্থা ভালো না। পুরো সড়কে লাইট দেয়া উচিত। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ নিয়মিত পুলিশি টহল পরিচালনা করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আমাদের একজন ছাত্রীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়। তার অভিযোগ পেলে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ধরণের অপরাধমূলক ঘটনার অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিব। এই সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে রাতে নিয়মিত আমাদের পুলিশের বিশেষ টহল পরিচালনা করা হবে। লাইটিংয়ের বিষয়ে যথাযথ কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলেন তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App