×

সারাদেশ

প্রাচীন পাগলা বাজারের সভাপতি দেলোয়ার, সম্পাদক মিজান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম

প্রাচীন পাগলা বাজারের সভাপতি দেলোয়ার, সম্পাদক মিজান

ছবি: ভোরের কাগজ

প্রাচীন পাগলা বাজারের সভাপতি দেলোয়ার, সম্পাদক মিজান

ফাইল ছবি

প্রথমবারের মতো উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে শান্তিগঞ্জের প্রাচীনতম পাগলা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন (ঘোড়া)। তিনি পেয়েছেন ৩৩৭ ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মিজানুর রহমান মিজান (তালগাছ)। তিনি পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।

সভাপতি পদে বিজয়ী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আওয়াল উদ্দিন পেয়েছেন ২৩৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাজি কমর উদ্দিন ফুটবল প্রতীকে ২৫০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে মো. আতর আলী দোয়াত কলম প্রতীকে ৩১৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মহিবুর রহমান কুড়াল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮৮ ভোট।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোবাইল ফোন প্রতীকে ৩০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন দিপক দে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সিরাজ মিয়া টেবিল প্রতীকে ২২৪ ভোটে বিজিত হয়েছেন। মো. শফিকুল ইসলাম চাকা প্রতীকে ২২৪ ভোট পেয়ে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছে। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী বিমল কুমার দাস কাঁঠাল প্রতীকে ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে মো. হাফিজ উদ্দিন আম প্রতীকে ৩১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. কামাল হোসেন মোমবাতি প্রতীকে ২৩৮ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে সাইদুর রহমান চশমা প্রতীকে ৪২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমান টেবিলফ্যান প্রতীকে ২০৭ ভোট পেয়েছেন। প্রচার সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মকবুল হোসেন। গরুর গাড়ি প্রতীকে তিনি ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আরছব আলী টিউবওয়েল প্রতীকে ২৫৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।

এছাড়া, সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে মাইক প্রতীকে ৪০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. শাহিন মিয়া। সদস্য পদে বিজয়ী আরো তিন প্রার্থী হচ্ছেন নাছির আলী, কমর আলী ও তোয়েল মিয়া। নাছির আলী মাছ প্রতীকে ৩৫৭, কমর আলী লাটিম প্রতীকে ২৯৭ ভোট ও তুয়েল মিয়া বাঘ প্রতীকে ২৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

এর আগে শনিবার সকাল থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বাজারের ইতিহাসে এই প্রথমবার গণতান্ত্রিক পর্যায়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে ৬৭৫ ভোটের বিপরীতে ১২ পদের জন্য লড়াই করেন ৩০ প্রার্থী। নির্বাচনকে অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করে নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটি ও নির্বাচন কমিশন (সমবায় কার্যালয়)। পাগলা সরকারি মডেল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের তিনটি কক্ষে ৯ বুথে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। দিনব্যাপী প্রার্থী, ভোটারদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ভোট কেন্দ্রের আশপাশ ও পাগলা বাজারের পুরো এলাকা। প্রথমবার ভোট দিতে পেরে ভোটার মধ্যে ব্যাপক আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়াই বিকেল চারটায় সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। সন্ধ্যা সাতটায় ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কর্মকর্তা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মাসুদ আহমেদ।

নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এই সমবায় কর্মকর্তা। তিনি বলেন, প্রথমত পাগলাবাসীকে ও প্রার্থীদের ধন্যবাদ। অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে দিনব্যাপী তারা ভোট প্রদান করেছেন ও নির্দ্বিধায় ফলাফল মেনে নিয়েছেন। এটাই কাম্য ছিলো। ধন্যবাদ দিচ্ছি নির্বাচন বাস্তবায়নকারী (স্টিয়ারিং কমিটি) ৯ তরুণকে। তারা সমস্ত নির্বাচন আয়োজন, বাস্তবায়নসহ সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। বিশেষ ধন্যবাদ দিচ্ছি শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান হাজি আবুল কালাম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজি আবদুল হেকিম, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনছার উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল আলম নিক্কু, নূরুল হক ও আওয়ামী লীগ নেতা তেরাব আলীসহ সবাইকে। তাদের সহযোগিতা ছিলো সার্বক্ষণিক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App