×

সারাদেশ

পর্যটন কেন্দ্রে তিন যুবতীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম

পর্যটন কেন্দ্রে তিন যুবতীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

ছবি: ভোরের কাগজ

নোয়াখালীর হাতিয়ায় পর্যটন কেন্দ্রে তিন যুবতীকে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণেচেষ্টা করে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত মিন্টু (২৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে সহাকরী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. আমান উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা হওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার রুপা (২৮) বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নিমতলী পর্যটন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃত মিন্টু উপজেলার নিমতলী এলাকার বেলাল মাঝির ছেলে। ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার রুপা অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা তিন বোন হাতিয়া উপজেলার ওছখালী থেকে নিমতলী পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যান। নিমতলী সৈকত ঘুরে দেখার সময় অপরিচিত চার যুবক তাদের উক্ত্যত করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের ধর্ষণের চেষ্টা করে পরনের শাড়ি, ব্লাউজ ছিড়ে ফেলে। ওই সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সামনে বখাটেরা প্রকাশ্যে আমাদের গলার, কানের স্বর্ণের চেইন, কানের ফুল, ব্যাগে থাকা ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

রুপা অভিযোগ করে আরো বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলে হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন প্রথমে এ ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারপর আমাকে মুঠোফোনে কল করেও বিশ্রী গালিগালাজ করে। কিন্ত ঘটনার সময় স্থানীয়রা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ায় ওসি মামলা নিতে বাধ্য হয়। ওসি আমাদের কিছু হয়নি বলে আসামি ছেড়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।

হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সহাকরী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. আমান উল্যাহ বলেন, বিষয়টি আমাকে অবগত করলে ওসিকে মামলা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে মামলার বাদীর সাথে ওসির খারাপ ব্যবহারের বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App