ভারতে রোগীদের এন্টিবায়োটিক না দেওয়ার পরামর্শ

আগের সংবাদ

ধারের টাকা পরিশোধ করতে নবজাতককে অপহরণ

পরের সংবাদ

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩ , ৫:১৫ অপরাহ্ণ আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৩ , ৫:১৫ অপরাহ্ণ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ইটভাটার ৮ শ্রমিক মিলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। এরপর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব কথা জানায় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মাছুম আহমদ ভুঁঞা। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ফুলবাড়িয়া উপজেলার একটি গ্রামে বাড়ির পাশ থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রথমে স্থানীয় মানুষ আত্মহত্যার ধারণা করলেও সুরতহালের পর পুলিশের ধারণা হয়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কারণে কিশোরীর মৃত্যু হতে পারে। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় গত রোববার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাঁচ থেকে ছয়জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো- মো. শাহজাহান, মো. শহিদ মিয়া, মাছুম বিল্লাহ, আলমগীর হোসেন ও রাসেল মিয়া। শাহজাহান ও শহিদ মিয়ার নামে এর আগেও ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে।

ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মাছুম আহমদ ভুঁঞা জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় ওই স্কুলছাত্রী। এ সময় একটি সংঘবদ্ধ দলের কবলে পড়ে সে। ওই আটজন মিলে ধর্ষণের পর ফাহিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। পুলিশ এ ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে দুজন গতকাল শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, ধর্ষণকারী আটজন ইটভাটার শ্রমিক। তাঁরা দিনের বেলায় কাজ করলেও রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও আলমগীর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়