×

জাতীয়

সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৩, ০৪:২৭ পিএম

সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান

ছবি: সংগৃহীত

সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, মানুষ যেভাবে চায়, সেভাবে সংবিধান লিখিত হবে। মানুষের প্রয়োজনে স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের সংবিধান বারবার লিখিত হয়েছে, পুনর্লিখন হয়েছে এবং তা হতে থাকবে। মানুষের প্রয়োজনে যেভাবে সংবিধান তৈরি করতে হয়, ঠিক সেভাবে করতে হবে।

শুক্রবার (৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মঈন খান। বিএনপি চেয়ারপারসন ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের অনিবার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামে একটি সংগঠন।

আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দাবি করেছিল। সঙ্গে ছিল জামায়াতে ইসলামী। তখন জামায়াত জোরদার দল ছিল, এখন ততটা নেই। সেই জামায়াতে ইসলামী বলছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা দাবি করেছিল, আওয়ামী লীগ হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছে। যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৯৯৬ সালে হালাল ছিল, আজ তা কেন হারাম হয়ে গেল?’

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘জনগণের দাবির মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া জনগণের নেত্রী। তিনি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেননি, তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন সামনের দরজা দিয়ে। আট বছর রাজপথে রাজনীতি করে রাজনীতিতে এসেছিলেন।’

সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা আবোলতাবোল কথা বলছে। আজ একজন বলে খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন, কাল আরেকজন বলে করতে পারবেন না। পরশু একজন বলে রাজনীতি করতে পারবেন, তার পরের দিন আরেকজন বলে করতে পারবেন না। আওয়ামী লীগ উপলব্ধি করেছে, দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন। হুমকি-ধমকি দিয়ে, মানুষ হত্যা করে, মানুষ গুম করে ক্ষমতায় থাকা যেতে পারে; কিন্তু দেশের মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। তারা ১৪-১৫ বছর ক্ষমতায় আছে, আরও কত দিন ক্ষমতায় থাকবে তা জানি না। কিন্তু একটি কথা আমি বলতে চাই, পৃথিবীর ইতিহাস আপনারা অবলোকন করুন। কোনো স্বৈরাচার চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারকে একদিন না একদিন বিদায় নিতে হবে। এ সরকারকে দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা লগি-বৈঠার রাজনীতি করি না। অনেকেই অভিযোগ করে, বিএনপি কিছু করতে পারে না। অভিযোগ করুক আর যা-ই করুক, আমরা হিংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক-গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী।’

সংগঠনের উপদেষ্টা ঢালি আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, শাম্মি আক্তার, বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App