×

জাতীয়

রেলের টিকিট সংগ্রহ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ১১:৫৩ এএম

রেলের টিকিট সংগ্রহ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ফাইল ছবি

নতুন পদ্ধতিতে রেলের টিকিট সংগ্রহ করা নিয়ে যাত্রীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ বলেছেন, এ পদ্ধতিতে টিকিট কাটা ভোগান্তির। আবার কেউ বলছেন, এখন সহজ হয়েছে আগে টিকিট বিক্রি শুরুর পরপরই সব উধাও হয়ে যেত। নতুন পদ্ধতিতে অনন্ত টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।

তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, এই নতুন পদ্ধতির সঙ্গে বানিয়ে নিতে মানুষের কিছুদিন সময় লাগবেই।

গতকাল বুধবার জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের মাধ্যমে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট কাটার পদ্ধতি চালু হয়েছে।

সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ শীর্ষক নতুন পদ্ধতি চালু করেন।

তথ্যসূত্র বলছে, ২০২২ সালের ২৬ মার্চ থেকে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনলাইনে নিবন্ধন শুরু হয়। গতকাল থেকে এটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে যাচাই করার বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন হয়েছে প্রায় ২০ লাখ। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন দিয়ে যাচাই শুরু হয়েছে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। গতকাল পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে যাচাই হয়েছে প্রায় ৫ লাখ। যাচাই মূলত নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত তথ্যভান্ডারের সঙ্গে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য।

আজ সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাউন্টারের সামনে বিপুলসংখ্যক মানুষের ভিড় দেখা যায়। বেশির ভাগ মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে আসেন। অনেকে পরিচয়পত্রের ফটোকপি এনেছিলেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কীভাবে নিবন্ধন করতে হবে তা বুঝতে পারছিলেন না।

অনেকে সরাসরি টিকিট কাউন্টারে থাকা কর্মীর কাছে নিজের পরিচয়পত্র দিয়ে টিকিট চাইছিলেন। কিন্তু রেলের কর্মীরা জানিয়ে দেন, আগে নিবন্ধন করতে হবে। তারপর ফোন নম্বর বা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর কম্পিউটারে প্রবেশ করালে টিকিট কাটা যাবে।

আগেই নিবন্ধন করিয়েছেন এমন দুজন যাত্রীরা জানান, তারা মুঠোফোনে এসএমসের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন। মুঠোফোনের নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করিয়েছেন। ওই ফোন নম্বর বলার পর তাকে কাউন্টার থেকে লালমনিরহাটের টিকিট দেয়া হয়েছে।

ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহীসহ বড় স্টেশনগুলোতে একই চিত্র দেখা গেছে। এসব স্টেশনে হেল্প ডেস্কে ভিড় করেন যাত্রীরা। তবে ছোট বা বিভিন্ন জেলা শহরের স্টেশনে এ ডেস্ক ছিল না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App