×

সারাদেশ

বাঁধের অভাবে বোরো ধান চাষাবাদে ভয় পাচ্ছেন কৃষক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ০১:৩১ এএম

বাঁধের অভাবে বোরো ধান চাষাবাদে ভয় পাচ্ছেন কৃষক

ছবি: ভোরের কাগজ

বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চার টি হাওরের ৩হাজার হেক্টর বোরো জমি আবাদে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক। ছাতকের সিংচাপইর ইউনিয়নের ভটেরখাল নামক নদীর সংযোগ রক্ষাকারী চড়ারডর বা কটুর ডরে বাঁধ নির্মাণ না করায় এ ফসলহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলার খাসগাওঁ বাজারের উত্তরে ভটেরখাল সংলগ্ন হাটা খান্দি, নাইয়ার কুল, খুরাদল ও সোনারতাল ওই চারটি হাওরে পানি ডুকে ৩ হাজার হেক্টর বোরো ফসলহানি হয়। কটুরডর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার অবদি অনুমান চার কিলোমিটার জায়গা মাঠি ভরাট হলে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হতো না।

কৃষকেরা জানান, উপজেলার ভটেরখালের শাখা শীত মৌসুমে শুকিয়ে যায়। কিন্তু চৈত্র মাসের শুরুতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি সুরমার শাখা ধরে ভটেরখালে প্রবেশ করে চড়ারডর দিয়ে সবগুলো হাওরে প্রবেশ করে। এতে হাওরে থাকা বোরো ফসল তলিয়ে যায়।

কৃষক আব্দুল আহাদ জানান, নিরুপায় হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁধটি নির্মাণ করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করি। তাতে কোন লাভ হয়নি। এবারও বাঁধটি নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। তিনি বলেন, তিন হাজার হেক্টর বোরো জমি তলিয়ে যায়। আমরা ভয়ে বোরো জমি চাষাবাদ করা বাদ দিয়ে দিছি। কোন বিশ্বাসে করবো। না পাই এমপির সাহায্য না পাই সরকারের সাহায্য। অথচ সরকারি ৫০/৬০হাজার টাকা খরচ করলে বাধঁটা এবছর ঠিকাতে পারতাম ফসল ও করতে পারতাম। কিছুটা দুশ্চিন্তা কম থাকতো।

এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষক আনসার আলী, মদরিস আলী ও হাজি আব্দুল হাসিম জানান, কোন বিশ্বাসে টাকা খরচ করবো। কুটরচড়ের মাঝামাঝি স্থানে বিকল্প বাঁধ না দেয়া হলে চৈত্র মাসের শুরুতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি খাল দিয়ে হাওরে ঢুকে সব বোরো ফসল তলিয়ে যায়।

কৃষকরা আরও বলেন, কটুরডর থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার অবধি অনুমান চার কিলোমিটার জায়গা মাঠি ভরাট হলে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হতো না। তারা এবছরের জন্য ৫০/৬০ফুটের একটি বাঁধ নির্মাণে সবার সহযোগিতা চান।

হাটা কান্দি হাওরের পাশের গ্রামের বাসিন্দা হাজি সিদ্দেক আলী বলেন, ‘আমাদের গ্রামের কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণ করে বন্দের হাওরের বোরো ফসল রক্ষা করে আসছেন। আর তখন থেকেই সরকারিভাবে বাঁধটি নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে জনগণ। আমি নিজে বাঁধটি নির্মাণের জন্য পাউবোর কাছে আবেদন করেও কোনো সাড়া পাইনি।’

পাউবো ছাতক উপসহকারী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন বলেন, এবছর আর কিছু করার সুযোগ নেই তবে ইউনিয়ন পরিষদ চাইলে সেটি করাতে পারবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে জামান চৌধুরী বলেন, বিষয়টা আপনার মাধ্যমে জানলাম। ৫০/৬০ হাজার টাকার মাটি কাটানোর বিষয়ে পরে জানাবো। আপাতত কিছু বলতে পারবো না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App