ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে মাদ্রাসায় হামলার অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগরে মাদ্রাসা ৭ বছরের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় এক শিক্ষকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার লস্করপুর থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এর আগে ওই মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যে হামলায় নেতৃত্বে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লস্করপুর হোসাইনিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার কিন্ডারগার্টেন বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে ৩ দিন আগে যৌন হয়রানি করে শিক্ষক মোহাম্মদ আলী (২৭)। পরে শিশুটির অভিভাবকরা বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদের কাছে জানান। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর খোঁজ করেন।
এর সাথে সাথে প্রায় ২ থেকে ৩শ উত্তেজিত জনতা মাদ্রাসায় ভাংচুর শুরু করে এবং শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে ধরে মারধর করে। উপায় না দেখে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ ৯৯৯ এ ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এই বিষয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিশুটির অভিভাবক শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জয়দেবপুরের সালনা এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ বলেন, শিক্ষক অপরাধী হলে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে বিচার হবে তাতে আমার দ্বিমত নেই। ৩ দিন আগের ঘটনা কিন্তু প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসাবে আমার কাছে কেউ কিছু বলেনি। সকালে কিছু বুঝে উঠার আগেই ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদসহ বহু লোক এসে মাদ্রাসায় ভাংচুর করে ও শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে মারধর করে।
হাঁসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, বিষয়টি জানার পর মাদ্রাসায় গিয়ে তা মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যৌন হয়রানির ঘটনা মীমাংসা করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দেননি।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে আটক করেছে। শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।