×

জাতীয়

পুলিশ ও বিচারকরা উচ্চ আদালতের কথা মানে না

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৩, ১০:২৩ পিএম

পুলিশ ও বিচারকরা উচ্চ আদালতের কথা মানে না

বুধবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যার্টনি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুনসহ আরো অনেকে। ছবি: ভোরের কাগজ

পুলিশ, আর্মি (সেনাবাহিনী) ও বিচাররকরা আদালতের নির্দেশনা মেনে চলে না বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন। তিনি বলেন, রিমান্ড নিয়ে আপনারা যতই রায় দেন, আপনাদের (বিচারপতিদের) আদেশ পুলিশ ও আর্মি মানে না। কনিষ্ঠ বিচারক, যার অভিভাবক সুপ্রিম কোর্ট, তারা পর্যন্ত উচ্চ আদালতের আদেশ মানে না। যখন মানে না তখন আপনারা (বিচারপতিরা) কিছু করতে পারেন? আদেশ মানা হচ্ছে কিনা, এটা নিয়ে একটা গাইড লাইন তৈরি হওয়া উচিত।

‘বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু, শুদ্ধচার, নারীর ক্ষমতায়ন ও অন্যান্য’ এই দুই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বুধবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যার্টনি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এখনো ৩০ শতাংশ মানুষ এখনো বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। মেনে নিতে পারে না। এখন সুবিধা নেয়ার জন্য অনেকে সুযোগ বুঝে বক্তব্য দেয়।

রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র ধর্ম বিষয়টা কায়টা দেশে আছে! পৃথিবীর কোথাও রাষ্ট্রধর্মের সংস্কৃতিটা নেই। মাত্র কয়েকটা মুসলিম দেশে আছে। এই দেশে এটি নিয়ে এখনো আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক নাকি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে সেটা ১৯৭১ একাত্তর সালে সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। যে ইস্যুটা মীমাংসা হয়ে গেছে সেটা সামনে নিয়ে আসরা চেষ্ট করে একটি পক্ষ। যদি আবার খন্দকার মোস্তাকের জন্ম হয়, তখন এই দেশের বিপর্যয় হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

আদালত আবমাননার অভিযোগ তোলার আশঙ্কা করে মুনতাসির মামুন বলেন, জনগণের করের টাকায় যখন চলে তখন আমি আদালত নিয়ে সমালেচনা করবো। আদালতই আমাদের শেষ ভরসা। বিচারপতিদের সামনে কথা বলতে ভয় লাগে। ওনারা যেকোন সময় ‘আদালত অবমাননার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করতে পারেন। তবুও মানুষ হিসেবে একটি কথা বলতে হবে, বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে এই আদালতে রাজনীতিবিদরা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলা হয়েছে। এখনো উনাকে অবমাননা করে চলছি। পৃথীবির এমন কোন জাতি পাবেন না, যেখান জাতির পিতাকে অবমাননা করতে ভালোবাসেন। গান্ধীকে এখনো নরেন্দ্র মোদি অবমাননা করার সাহস পায়নি। এদিক দিয়ে বাঙালি খুব সাহসী। তারা এখনো বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করতে সাহস রাখেন।

তিনি আরো বলেন, ৫ লাখ টাকা চুরি করলে তার সাজা হয়। পুলিশ কোমরে রশি দিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু ৫ শ কোটি চুরি করলে স্যার ডাকি। এরকম এক হাজরের উপরে আছে। তাদের বিচার হয়নি।

প্রসঙ্গত, ‘বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ’ বইয়ের লেখক আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং ‘বঙ্গবন্ধু, শুদ্ধচার, নারীর ক্ষমতায়ন ও অন্যান্য’ বইয়ের লেখক তার স্ত্রী নাফিসা বানু।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App