মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই জাপার অ্যাজেন্ডা

আগের সংবাদ

যানজট নিরসনে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন

পরের সংবাদ

পরিচালক ও ম্যানেজার উধাও, মালিক বাবা-ছেলে অবরুদ্ধ

সিংগাইরে দৃষ্টি সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির প্রতারণা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ৬:৫৮ অপরাহ্ণ আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ৬:৫৮ অপরাহ্ণ

মানিগঞ্জের সিংগাইরে গ্রাহকদের আমানতের টাকা নিয়ে দৃষ্টি ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের এনজিও পরিচালক এবং ম্যানেজার উধাও হয়েছে। খবর পেয়ে গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানের মালিক বাবা-ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই শত শত গ্রাহক সংগঠনটির কার্যালয় উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের মধুরচর গ্রামের ভাড়া নেয়া জয়নুল আবেদীনের বাড়িতে জড়ো হয়ে তাদের আমানতের টাকা দাবি করেন। সেই সাথে সংগঠনের কর্ণধার সভাপতি সোলাইমান ও তার ছেলে বাহারুলকে অবরুদ্ধ করেন গ্রাহকরা। অবরুদ্ধ হওয়া বাপ-ছেলে ওই এলাকার চর রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা। এর আগের দিন ওই সংগঠনের পরিচালক এমানুর ও ম্যানেজার আজিজুল উধাও হয়।

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে সোলাইমান ও তার ছেলে বাহারুল সমবায় সমিতির নামে অফিস খুলে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে জামির্ত্তা, সায়েস্তা ও চান্দহর ইউনিয়নের লোকজনের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে বেশ কিছু ডিপিএস মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় আমানতকারীরা তাদের টাকা চাইতে গেলে দুই দিন আগে ওই সংগঠনটির দুই কর্মকর্তা উধাও হন। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পালানোর প্রস্তুতি নিলে গ্রাহকরা তাদের সমিতির কার্যালয়ে আটক করে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও অভিযুক্ত বাপ-বেটা গ্রাহকদের নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

গ্রাহক আনিসুর, নজরুল, নুরজাহান, তাহেরুন, কানেছা, শিল্পী আক্তার ও ময়না অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কষ্টার্জিত টাকা এই সমবায় সমিতিতে জমা রেখেছি। এখন সেই টাকা ফেরত চাইলে তারা তালবাহানা শুরু করেন। সেই সাথে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যে কোন মূল্যে তারা তাদের আমনতের টাকা ফেরত চান।

অবরুদ্ধ থাকা দৃষ্টি সমবায় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাহারুল হক বলেন, আমার বাবাকে সভাপতি করে গত ১৪ বছর যাবৎ সংগঠনটি পরিচালনা করছি। পরিচালক ও ম্যানেজার উধাও হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহকরা ধৈর্য্য ধরলে তাদের টাকা ফেরত দেয়া সম্ভব ।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমবায় অফিসার মো. আরব আলী বলেন, এখনো পর্যন্ত অভিযোগ দেননি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।

কেএইচ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়