×

শিক্ষা

নাপা-স্যালাইন আর একটি বেড দিয়ে চলছে নোবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টার

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:২০ পিএম

নাপা-স্যালাইন আর একটি বেড দিয়ে চলছে নোবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টার

ছবি: ভোরের কাগজ

নাপা-স্যালাইন আর একটি বেড দিয়ে চলছে নোবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টার

ছবি: ভোরের কাগজ

নাপা-স্যালাইন আর একটি বেড দিয়ে চলছে নোবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টার

ছবি: ভোরের কাগজ

উপকুলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টার চলছে নাপা ও এসএমসির ওরস্যালাইনে উপর ভর করে। নাপা ওরস্যালাইন ছাড়াও ওমিপ্রাজল, ডেসলোরাটাডাইন (এলার্জির ওষুধ) হিস্টারসিনসহ প্রাথমিক চিকিৎসার ওষুধ ছাড়া আর কোনো ওষুধই নেই মেডিকেল সেন্টারে।

এছাড়া প্রায় আট হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য রয়েছে একটি মাত্র বেড। আজ (সোমবার) একসাথে তিনজন শিক্ষার্থী জ্ঞান হারালে বেড সংকটে পরে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এ সময় চেয়ার দিয়ে বেড তৈরি করে ডাক্তাররা তাদের চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যায়।

দুই জন চিকিৎসক ও একজন প্যারামেডিকেল এসিস্ট্যান্ট দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। প্রয়োজনের তুলনায় জনবল কম থাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও মেডিকেলে নেই অন্যকোনো সুযোগ সুবিধা। কোনো ধরনের টেস্ট করার যন্ত্র নেই। রুম আছে কিন্তু নেই কোনে সরঞ্জাম।

[caption id="attachment_410259" align="alignnone" width="1280"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট (বিভাগের) দুই শিক্ষার্থী একসাথে জ্ঞান হারালে তাদের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে উঠে আসে বেড সংকটের বিষয়টি। এ সময় একমাত্র বেডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন আরেকজন শিক্ষার্থী। তখন তাদের একজনকে অ্যাম্বুলেন্সে এবং অপর জনকে চেয়ার দিয়ে বেড তৈরি করে সেবা দিতে দেখা যায়।

ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল অনি বলেন, প্রায় আট হাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীর জন্য একটি অকেজো মেডিকেল নিয়ে চলছো নোবিপ্রবি। বেড নেই, মেডিসিন নেই, ডাক্তার নেই, আধুনিক কোন সুযোগ সুবিধা নেই। এভাবে চলতে থাকলে যে কোন মুহূর্তে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, কারণ প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও দেয়া সম্ভব হয় না অনেক সময়।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ হোসেন বলেন, মেডিকেলের তো কোনো ব্যবস্থাপনায় নাই। মেডিকেল সেন্টারের নামে একটা বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছে মাত্র। যেখানে চিকিৎসা বলতে শুধু একপাতা নাপা এক্সট্রা আর গ্যাস্টিকের ওষুধ পাওয়া যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো যন্ত্রপাতির ও নাকি সেখানে অভাব। আর তার উপর মেডিকেল পরিচালনার জন্য যে জনবল থাকা উচিত। সেটাও সেখানে নেই।

[caption id="attachment_410261" align="alignnone" width="1283"] ছবি: ভোরের কাগজ[/caption]

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আজহারুল হক মিজান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাত্র বেড সত্যিই দুঃখজনক। নামমাত্র মেডিকেল সার্ভিস দিচ্ছে মেডিকেল সেন্টার। শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল মানেই প্যারাসিটামল সেন্টার। মাথা ব্যথা, জ্বর, ডায়রিয়ার ওষুধ ছাড়া কোনো ওষুধ থাকে না মেডিকেল সেন্টারে। অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে গেলে প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন ইত্যাদি জাতীয় প্রাথমিক ওষুধ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না। অন্য ওষুধ কিনতে হয় বাহির থেকে। কোন টেস্ট এখানে হয় না। টেস্ট করাতে হয় শহরের প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে। এসব ওষুধ ও টেস্টের ব্যয়ভার বহন করা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব হয় না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী দৈনিক ভোরের কাগজকে বলেন, নতুন মেডিকেল সরঞ্জাম আনা হবে। বিষয়গুলো প্রক্রিয়াধীন আছে। বেড সংকট নিয়ে তিনি ডাক্টারের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App