সারাদেশের ন্যায় হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী। কিন্ত অন্যান্য স্থানে জাঁকজমকভাবে হলেও বানিয়াচংয়ে ছিল প্রাণহীন, সাদামাটা। উন্নত জাতের ষাড় ও গাভী ছিল মাত্র ২টি। গত বছর শতাধিক খামারি প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ করলেও এবার ছিল মাত্র ৩০টি।

শান্তনা পুরস্কার ২ শত থেকে ৪ শত টাকা করে দেওয়ার বিধান থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র ৯৯ টাকা করে। আগত খামারিদের দেয়া হয়নি দুপুরের খাবার কিংবা নাস্তা। পশু-পাখিকেও সরবরাহ করা হয়নি খাবার। গরু ছাগল ছাড়া অন্যান্য পশু-পাখির স্টলকে কোন পুরস্কারই দেয়া হয়নি।

অংশগ্রহণকারী দুগ্ধ খামারি মুহিতুর রহমান জানান, বাহুবল উপজেলায় প্রত্যেককে শান্তনা পুরস্কার ২ থেকে ৪ শত টাকা দেয়া হয়েছে। দেয়া হয়েছে ১টি করে বালতি। কিন্ত বানিয়াচংয়ে শুধুমাত্র ৯৯ টাকা করে দেয়া হয়েছে। তার গাভীকেসহ অন্যান্য খামারীদের পশুপাখিকে খাবারও দেয়া হয়নি। নিজেও সারাদিন ছিলেন উপোস। অথচ প্রদর্শনীর জন্য ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ছিল বরাদ্দ।

উপজেলা সবচেয়ে বড় দুগ্ধ খামারি সাগর দিঘীর দক্ষিণ পাড়ের মাহমুদ মিয়া জানান, আমার ৮টি গাভী আছে। প্রতিটি গাভী দৈনিক ৩৫ লিটার করে দুধ দেয়। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় খরচ না দেয়ায় এবারের প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ করেননি তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী একাধিক খামারি বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুর রহমান খামারীদের ঠকিয়ে বরাদ্দের সিংহভাগই আত্মসাৎ করেছেন। আগামীতে প্রদর্শনীতে তারা আসবেন না বলেও জানান। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিসে বিলম্বে আসা এমনকি অফিস ফাঁকি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। কোন ঠুনকো বিষয়কে কেন্দ্র করে অফিসের স্টাফদের অকথ্য ভাষায় গালাগালও করে থাকেন তিনি।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সাইফুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি মোবাইলে কথা বলি না।