×

মুক্তচিন্তা

প্রাণের টানে বইয়ের গানে ঢাকা বইমেলায়

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:১৭ এএম

সাহিত্য-সংস্কৃতিকে যে কাঁটাতারে বাঁধা যায় না সে কথা অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ মাত্রই জানে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, রাজনৈতিক প্রয়োজনে দাবার ঘুঁটি করা হয়েছে এই সাহিত্য-সংস্কৃতিকে। ষাটের দশকে রবীন্দ্রচর্চা নিষিদ্ধ হয়েছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশে। ভারতীয় সাহিত্য-সংস্কৃতির হাওয়াকে রুদ্ধ করা হয়েছে বারবার। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতেই এপারে আগত লেখকরা মন খুলে লিখেছেন এখানকার পত্রিকায়। বাংলাদেশ গঠনের পরও একই খোলা হাওয়া। বঙ্গবন্ধু হত্যার পূর্ব পর্যন্ত তবু কিছুটা বইপত্রের আদান-প্রদান ছিল। কিন্তু ১৯৭৫ এর পরে লেখালেখি বা অন্যান্য শিল্পসংস্কৃতি আদান-প্রদানের মধ্যে উঠে গেল এক অদৃশ্য দেয়াল। তবু টুকরো-টাকরা ছিটকে এসেছে ভালো সৃষ্টিগুলো। কলকাতা বইমেলা ও ঢাকার বইমেলার সূত্রপাত মোটামুটি একই সময়ে। গত শতাব্দীর সত্তরের মধ্যভাগ। একই ভাষার এই দুই মেলা তাই দুপারের বাঙালির অত্যন্ত শ্লাঘার ও গর্বের। তাই প্রতি বছর দুই বাংলার বইপ্রেমীরা মেলার সময়ে পরিযায়ী পাখি হয়ে ওঠেন। এপার যান ওপারে। ওপার এপারে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। গত ১০ বছরে ঢাকার আটটি বইমেলায় ধুলো খেয়ে, চুলের রং পালটে দিয়েও এসেছি এক অনতিক্রম্য প্রাণের টানে। এই টানটা কি- ভাষার? সংস্কৃতির? আতিথেয়তার? একেবারেই নয়। এসেছি পাঠকদের টানে। প্রথমেই একটা বিবৃতি দিয়ে রাখি, তা হলো বাংলাদেশের পাঠকের বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের প্রতি যে আত্মিক টান আছে তা আমাকে মুগ্ধ করেছে বারবার। এবারের অর্থাৎ ২০২৩-এর অমর একুশের বইমেলায় সেই চিত্রের ব্যত্যয় ঘটেনি। এবারের বইমেলায় যথারীতি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও লিটল ম্যাগাজিনের টেবিল দিয়ে সেজেছে ঢাকার বইমেলা। প্যাভিলিয়ন উচ্চবর্গের প্রকাশনা সংস্থার। মধ্যমারা দুই বা তিন স্টলের মালিক। লিটন ম্যাগাজিন হচ্ছে দুয়োরানীর তৃতীয় সন্তান। মেলা পরিকল্পনা বা সংগঠনের ভূয়সী প্রশংসা আগে করা যাক। প্রথম ও প্রধান কয়েকটি বিষয় হলো মেলার পরিকল্পনা ও স্টল নির্মাণ। যেভাবে জায়গা রেখে এই স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্থাপিত হয়েছে, তা এককথায় অসাধারণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ স্বাভাবিকভাবে তারুণ্যের বিজ্ঞাপনের উজ্জ্বল নিদর্শন, যা ওপার বাংলার চোখে সব সময়ই অভিনব মনে হয়। ঢাকা বইমেলায় হাঁটার সময় কখনো মনে হয় না যে বাপ রে, কী ভিড়। বরং কাজের দিনে জনসমাগম কম দেখে আমার মনে হয়েছিল, বাঙালি পাঠক কি কমে গেল? কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি ও শেষ শুক্রবারের বইমেলার ভিড় দেখে সে সংশয় দূরীভূত হয়েছে। প্রথম ২৩ দিনে এই বইমেলায় নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে ২৭২৬টি। প্রতাশিত এই যে এই সংখ্যা ৩৫০০-এর মতো হবে। এখানে আমার একটা প্রশ্ন থেকে যাবে, তা হলো এত যে বই প্রকাশ হচ্ছে তার মান কতটা উন্নত? এখন টাকা থাকলে বই ছাপানো যায়। বই ছাপালে সোশ্যাল স্ট্যাটাস বাড়ে। লেখকের ঝুলোঝুলিতে বা প্রভাবে পাঠক বই কেনেন। কিন্তু পড়তে গিয়ে তাদের মনে এতটাই বিরক্তিতে ভরে ওঠে যে, তারা ক্রমেই বইবিমুখ হয়ে পড়েন। অথচ এই বইপ্রকাশের কোনো সেন্সর বোর্ড নেই। কিছু বড় প্রকাশনা বিষয় ছাপেন, বাকিরা নাম ছাপেন। অর্থাৎ লেখকের নামে বই বিক্রি হয়। এখানে আরেকটা মুশকিল এই যে ব্যক্তিগত প্রভাবে বই ঠেলে দেয়া যায় বিভিন্ন সরকারি গ্রন্থাগারে। কাজেই এই বইয়ের মান বিষয়টি আজ সোজাসুজি প্রশ্ন তুলে দেয় বই প্রকাশের সেন্সর বোর্ডের স্থাপনার প্রয়োজনীয়তার প্রতি। আরেকটি বিষয়ের প্রশংসা করব, তা হলো বই ছাড়া অন্যান্য পণ্যের স্টল অমর একুশে বইমেলায় গেঁড়ে বসতে পারেনি। কলকাতা বইমেলায় যেমন ফিস্ফ্রাই, কাটলেটের বাজার বইয়ের চেয়ে অনেক ভালো বা হার, মালা, চুড়ির দোকান যত্রতত্র ঢাকায় সে ব্যবস্থা নেই। পুলিশি ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। ধূমপানহীন বইমেলা দেয়ার চেষ্টা হয়েছে। আরেকটি বিষয় যা অমর একুশে গ্রন্থমেলার উজ্জ্বল দিক তা হলো ক্রমাগত বইভিত্তিক ঘোষণা। ছোট বিষয়, কিন্তু এর দ্যোতনা গভীর। এবার আসি সবচেয়ে অবহেলিত দিকে। তা হলো লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন। এককথায় জঘন্য, কুরুচিকর ব্যবস্থাপনা। পাশেই মেলা কমিটির মাইক চলছে তার স্বরে। বাংলাদেশে মাইকের তীব্রতার সীমাবদ্ধতা আছে বলে আমার জানা নেই। কাজেই লিটল ম্যাগাজিন স্টলে বসার জায়গা নেই, কথা বলার পরিবেশ নেই, হতশ্রী দশা। পাঠক কেন আসবেন সেখানে? অথচ নামি লেখকদের উত্থান হয়েছে ছোট কাগজ থেকে। তারা আজ মুরব্বি। দেশের স্বাধীনতার সময় যখন বড় কাগজগুলো শাসক তোষণে ব্যস্ত ছিল, তখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ছোট কাগজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর কঠিন এক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় বাংলাদেশ। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে (১৯৭৭ সালে) মাসিক সমকাল পত্রিকার দ্বাদশ সংখ্যায় ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশিত হয়েছিল আবুল ফজলের গল্প ‘মৃতের আত্মহত্যা’; যা ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথম প্রতিবাদী গল্প। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যতরুণ গোষ্ঠী ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশ করে- এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়। কবি শামসুর রাহমানের ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানকালে লেখা কবিতার লাইন ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়’ দিয়ে সংকলনের নাম দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় শাহাদতবার্ষিকী সংখ্যা বের করে এপিটাফ। কার্টিজ পেপারে কাঠের ব্লকে মুদ্রিত প্রচ্ছদজুড়ে ছিল বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ছবি। নিউজপ্রিন্টে লেটারপ্রেসে মুদ্রিত ডিমাই ১/৮ সাইজের এ সংকলনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ৪টি প্রবন্ধ, একটি সম্পাদকীয় (পুনর্মুদ্রিত) এবং ১২টি কবিতা ছাপা হয়। অনেক অনেক উদাহরণ দিতে পারি। কিন্তু আজ যারা বইমেলার নীতিনির্ধারক, তারা কীভাবে ভুলতে পারেন কীভাবে? কলকাতা তথা ভারত চিরকাল অকৃপণ থেকেছে বাংলাদেশের গুণীদের সম্মান প্রদর্শনে। আনন্দ পুরস্কার পান ১৯৯২ এ তসলিমা নাসরিন, ১৯৯৬ এ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, ২০০০ এ আবার তসলিমা নাসরিন, ২০০৮ এ হাসান আজিজুল হক, ২০১৭ ও ২০২০ সালে দু’বার আনিসুজ্জামান। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ২০১৪ সালে শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ভারত সরকার প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ লাভ করেন। বাংলাদেশের অনেকেই ভারতের বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত হন। কিন্তু বাংলাদেশ কখনই ভারতীয় লেখকদের স্বীকৃতি জানানোর সৌজন্য দেখাননি। তা না দেখান, কিন্তু ভারতীয় বাঙালি লেখকদের বাংলাদেশে নিজেদের সৃষ্টিকে প্রকাশ করার দরজা রুদ্ধ করা হয়েছে বারবার। ঢাকার বইমেলায় ভারতীয় প্রকাশকদের চিরকালই ‘প্রবেশ নিষেধ’। কারণ প্রায় ৪০ বছর আগের প্রণীত নীতিমালা। সেই নীতিমালার ৬ নম্বর ধারায় উল্লেখিত আছে, বিদেশি কোনো লেখকের কোনো বই বাংলাদেশে প্রকাশ হলেও অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বিক্রি বা প্রদর্শন করা যাবে না। ব্যাখ্যা হিসেবে বলা হয়েছিল- বইমেলায় যদি কলকাতার লেখকদের বই বিক্রির অনুমতি থাকে, তবে বাংলাদেশের লেখকদের বই বিক্রি হবে না। আইনটা থেকেই গেছে কাগজে-কলমে। প্রতি বছর মেলা কমিটি প্রকাশকদের জানান, কোনো অবস্থাতেই কোনো বিদেশি লেখকের বই এই মেলায় থাকতে দেয়া হবে না। যারা এই আইন ভঙ্গ করবেন তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তারা আগামী মেলায় স্থান পাবেন না। কিন্তু অনুদিত বই বাজারে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে মেলা কমিটি নিজেদের ধারণার ওপরে নির্ভর করে অনুবাদ সাহিত্যকে একনায়কতান্ত্রিক ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছেন। ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমি ও মেলা কমিটি এক বৈঠকে মিলিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কোনো অবস্থাতেই কোনো বিদেশি লেখকের বই এই মেলায় থাকতে দেয়া হবে না। যারা এই আইন ভঙ্গ করবেন, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। তারা আগামী মেলায় স্থান পাবেন না। এবার পুলিশকে বলে বিদেশি লেখকের বই বাজেয়াপ্ত করা হবে। মিটিংয়ের পর এই মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা মূলত যে স্টলগুলো বিদেশি লেখকদের বই প্রকাশ করেন সেসব স্টলে তাদের সিদ্ধান্ত মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়ে বলেছিলেন যেহেতু এই নীতিমালা গ্রহণ করে স্বাক্ষর দিয়ে তারা স্টলের জন্য আবেদন করেছেন কাজেই তাদের এই সিদ্ধান্ত মানতেই হবে। এ ঘটনায় প্রকাশকদের মধ্যে বিস্ময় ও ত্রাসের সৃষ্টি হলেও বেশিরভাগই স্টল থেকে কলকাতার লেখকদের বই সরিয়ে নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এই আইন শিথিল করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলি, সরকার এ বিষয়ে আদৌ কতটা অবহিত আমার সন্দেহ আছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে আমি বিষয়টি বলেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, ‘আপনাদের প্রকাশকরা কি কোনো দিন বিষয়টা ঢাকার কানে তুলেছিল? হতে পারে উদ্যোগের অভাব।’ এর পরের যে ঘটনা বলছি, তা আরো মারাত্মক। ২০২০ সালে আমার দুটি বইয়ের এক প্রকাশককে লিখিতভাবে কবুলনামা দিতে হয়েছিল, তারা আমার বাংলাদেশের দুই মনীষীর জীবন নিয়ে লেখা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় প্রদর্শন ও বিক্রি করবেন না। তারপর তাদের প্যাভিলিয়ন প্রাপ্তির ছাড়পত্র মিলেছিল। সেই বছরই অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারের সময় সেই বছর আমার বঙ্গবন্ধুর কলকাতাজীবন নিয়ে লেখা উপন্যাসের প্রথম কপি তার হাতে তুলে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে এতটাই নিষ্ঠাবান পাঠক, তা বুঝলাম যখন দুদিন পরে তিনি জানালেন যে তিনি লেখককে দেখতে চান। আমার বন্ধু অস্ট্রেলিয়ানিবাসী কবি আবুল হাসনাৎ মিলটন ১ ফেব্রুয়ারি আমাকে ঢাকায় উড়িয়ে নিয়ে এলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হলো ৩ ফেব্রুয়ারি। নিজ হাতে উদ্বোধন করলেন। ছবি তুললেন। আমার আগে প্রকাশিত বইগুলো পাঠিয়ে দিতে বললেন। আর বললেন, তুমি তো আমাদের দেশ নিয়ে দারুণ কাজ করছ। যখনই প্রয়োজন হবে আমায় জানিও। নাহ, আবেগে বিবশ আমি সেদিন এই সমস্যা বলতে পারিনি। প্রতিটি দেশের বিভিন্ন বিষয়ে নিজস্ব নীতিমালা থাকে। কিন্তু সারস্বতচর্চার ক্ষেত্রে প্রত্যেক দেশই উদার। বাংলাদেশের সরকারি নীতিমালায় ভারতীয় বই আমদানি ও বিক্রয় অনুমোদিত। বিভিন্ন বইয়ের স্থায়ী দোকান, শোরুম বা অনলাইনে ভারতীয় বই পাওয়া যায়। কিন্তু এরশাদের একনায়কতন্ত্রী শাসনকালে উদ্ভূত নিয়মের বজ্র-আঁটুনির জেরে এপার বাংলার লেখকরা নিষিদ্ধ অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। এখানে একটা কথা প্রত্যেকের মনে রাখা প্রয়োজন যে বৈরিতাকে জন্মলগ্নে নির্মূল করা বুদ্ধিমানের কাজ। নাহলে তিক্ততা সৃষ্টি হতে বাধ্য। তাতে রাজনীতির লাভ হলেও সাহিত্যের সমূহ ক্ষতি। বেশি ক্ষতি বাংলাদেশের লেখক-শিল্পীদের। কারণ তারা ভারতে যে বৃহত্তর প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছেন, যে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন তা হারালে ক্ষতি বেশি তাদের। আবার সেই কূপমণ্ডূক হয়ে সাহিত্যচর্চা করতে হবে। কাজেই এই নিষেধাজ্ঞা দ্রুত ওঠা দরকার। সবশেষে আবার বলি, যতদিন সক্ষম আছি ঢাকায় আমি ফেব্রুয়ারিতে আসব, ভাষার টানে, বইয়ের টানে, প্রাণের টানে। এই বইমেলা শুধু বাংলাদেশের নয়, আপামর বাঙালির। তাই ওপার থেকে ভিড় বাড়ে ফেব্রুয়ারিতে। এপারে আসার টানে। অমিত গোস্বামী : কবি ও লেখক।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App